নিজস্ব প্রতিবেদক:
ডা. কেরামত আলী মেমোরিয়াল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নবজাতকের ভুল চিকিৎসায় দুই পা পুড়ে অঙ্গহানি ও চিকিৎসকের সহযোগীরা ঐ শিশুর পরিবার- কে নিয়ে ফেইসবুকে অপপ্রচার ও মোবাইল ফোনে হুমকি দেওয়ায় মানববন্ধন করেছে শিশুর স্বজন ও এলাকাবাসী।
মানিকগঞ্জের সিংগাইরের জয়মন্টপ ইউনিয়নের নাজিরপুর ঢোলখালপাড় গ্রামের রাজ মিস্ত্রি শুক্রর আলীর নবজাতক কে ঔই হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় দুটি পায়ের আঙ্গুল দগ্ধ হওয়ায় মামলার মুল আসামি চিকিৎসক মাহমুদা সুলতানা সাকি কে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা। বুধবার সকাল১১ টার দিকে উপজেলা পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে শিশুর স্বজন ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে এ মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন চলাকালে দগ্ধ শিশুর পিতা শুকুর আলীব বক্তব্যে বলেন, অভিযুক্ত হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্স আমার শিশু পুত্রের পায়ের আঙ্গুল দগ্ধ করে যে অঙ্গহানির ঘটনা ঘটিয়েছে তা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। ঐ চিকিৎসক গুরুত্ব না দিয়ে তাছিল্য ভাবে আয়া ও নার্স দিয়ে আমার শিশুকে থেরাপি দেন।এসময় তার দুই পা দগ্ধ হয়ে যায়। ধারদেনা করে দেড় লক্ষ টাকার মত ঢাকার রেনেসাঁ হাসপাতালের বিল পরিশোধ করেছি, কেরামত আলী মেমোরিয়াল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করার আশ্বাস দিলেও চিকিৎসা বাবদ আজঅবধি এক পয়সাও দেন নাই। উল্টো ফেইসবুকে অপপ্রচার ও মোবাই লে আমাকে হত্যার হুমকি দেন । আমি এই চিকিৎসকসহ মামলার সকল আসামীদের কঠোর শাস্তি দাবি করছি। এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জয়মন্টপ ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. শাহাদাৎ হোসেন, জামির্তা ইউনিয়ের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম রাজু, আওয়ামীলীগ নেতা আলাউদ্যুদিন, যুবলীগ নেতা মো. মুঞ্জ , সানোয়ার বাঙ্গালি , বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন, মান্নান, পল্লী চিকিৎসক সেলিম , ইউপি সদস্য বজলুল হক প্রমূখ।
প্রসঙ্গত, ১৮ ই উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের নাজিরপুর ঢোনখালপাড় গ্রামের রাজমিস্ত্রী শুকুর আলীর অম্তঃসত্তা স্ত্রী তাজনাহারের প্রসববেদনা উঠলে উপজেলার ডা. কেরামত আলী মেমোরিয়াল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করেন। পরিবারের সম্মতিতে ১৭ হাজার টাকা চুক্তিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঐ রাতেই চিকিৎসক মাহামুদা সুলতানা সাকি অস্ত্রোপ্রচার করলে একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেন। শিশুটি কান্না না করায় অনভিজ্ঞ আয়া ও নার্স নবজাতক শিশুটিকে ভুল থেরাপি দিলে দুটি পা পুড়ে যায়। এ সময় হাসপাতাল মালিক পক্ষ শিশুটিকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকার রেনেসাঁ হাসপাতালে রেফার করেন।