আতিকুর রহমান, ফ্রান্স:
বাংলাদেশ দূতাবাস প্যারিসের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ৫২-তম বার্ষিকী উদযাপন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশী, সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের নেতাকর্মীবৃন্দ, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
এদিন সকালে রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীত সহযোগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং উপস্থিত সকলকে নিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন। অতঃপর, দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ও বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দের উপস্থিতিতে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়। এরপর জাতির পিতা ও তার পরিবারবর্গ এবং মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির সার্বিক উন্নতি ও মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরবর্তিতে দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ এ দিবস উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন এবং আলোচনা অনুষ্ঠানে আলোচকগণ সুবর্ণ জয়ন্তী পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের পথে অগ্রযাত্রা বিষয়ে আলোচনা করেন।
রাষ্ট্রদূত তালহা তাঁর বক্তব্যের শুরুতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামে তার অসামান্য ও কালজয়ী নেতৃত্বের কথা পরম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। এছাড়াও, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বের উল্লেখ করে বাংলাদেশের বিগত এক দশকের উন্নয়নচিত্র তুলে ধরেন। রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বাংলাদেশ আজ রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত সূচকে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে যার ফলে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে আজ একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে সুপরিচিত হবার সম্মান লাভ করেছে। এসময় তিনি রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকল প্রবাসী বাংলাদেশীদের দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে একযোগে কাজ করার জন্য আহবান জানান এবং দেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকান্ডের বিষয়ে সজাগ থাকতে অনুরোধ করেন। বক্তব্যের শেষে মান্যবর রাষ্ট্রদূত উপস্থিত সকলকে নিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সাভার স্মৃতিসৌধে লিখিত প্রত্যয়ের পুনরাবৃত্তি করেন।
এছাড়াও মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নির্মিত একটি ভিডিও বার্তা দূতাবাসের ফেসবুক পেজের মাধ্যমে সম্প্রচার করা হয়।