আ. আলীম- স্টাফ রিপোর্টার:
সফররত মরিশাসের প্রেসিডেন্ট পৃথ্বীরাজ সিং রূপন গতকাল এক আলোচনা অনুষ্ঠানে বলেছেন, তার দেশ মরিশাস আফ্রিকা অঞ্চলে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রবেশদ্বার হতে পারে। বাংলাদেশের সাথে মরিশাস সহ আফ্রিকা অঞ্চলের ব্যবসা বানিজ্যিক বিস্তৃতিতে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।
এক্ষেত্রে মরিশাস সবসময় পাশে থাকতে চায়।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম গতকাল রাজধানীতে তার সাথে সাক্ষাৎ করলে তিনি একথা বলেন।
পৃথ্বীরাজ,বাংলাদেশ ও মরিশাসের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারের জন্য সংযোগ, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ এবং অর্থনৈতিক ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি সহযোগিতামূলক ব্যবস্থার ওপর জোর দেন। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে আনন্দ প্রকাশ করে মরিশাসের প্রেসিডেন্ট দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের চমৎকার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশে অর্জিত উল্লেখযোগ্য আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
মরিশাসকে বহু-জাতি সমাজ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি সে দেশে বাংলাদেশী শ্রমিকদের ভূমিকার প্রশংসা করেন। বাংলাদেশী শ্রমিকরা পরিশ্রমী ও দারুন উদ্যোমী বলে জানান তিনি। শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় বাংলাদেশ থেকে মরিশাসে উচ্চ পর্যায়ের সফরের আমন্ত্রণ জানান পৃথ্বিরাজ। মরিশাসের প্রেসিডেন্ট ৬ষ্ঠ ভারত মহাসাগর সম্মেলন ২০২৩ উপলক্ষ্যে তিন দিনের সফরে বর্তমানে ঢাকায় রয়েছেন।
পররাস্ট্র প্রতিমন্তী শাহরিয়ার আলম, মরিশাসের প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশের অর্জিত আর্থ-সামাজিক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ভিশন ২০৪১’ সম্পর্কে বিস্তারিত অবহিত করেন।
প্রতিমন্ত্রী এলডিসি-উত্তরণ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত আর্থিক ব্যবস্থার উল্লেখ করেন। তিনি মরিশাসে প্রবাসী বাংলাদেশীদের দেখাশোনা করার জন্য মরিশাস সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য কৃষি, শিক্ষা এবং আইটি খাতে আরও উচ্চ-পর্যায়ের সফর, বিমান যোগাযোগ এবং প্রশিক্ষণ বিনিময়ের ওপর জোর দেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন মরিশাস আমাদের অকৃত্তিম বন্ধু।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে পোর্ট লুইসের একটি রাস্তার নামকরণ করায় মরিশাস সরকারকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। মরিশাসের প্রেসিডেন্ট সকালে ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর পরিদর্শন করেন এবং অতিথি বইতে স্বাক্ষর করেন।