ajkertarunkantho
শুক্রবার , ১৯ মে ২০২৩ | ১৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ-দুর্নীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইসলাম ও জীবন
  5. কৃষি সমাচার
  6. খেলাধুলা
  7. জনদুর্ভোগ
  8. জাতীয়
  9. ধর্ম ও সংস্কৃতি
  10. প্রবাস সমাচার
  11. বাণিজ্য
  12. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. রাজনীতি

সিংগাইরে ইটভাটার আগুনে পুড়েছে কৃষকের স্বপ্ন

প্রতিবেদক
নিউজ রুম
মে ১৯, ২০২৩ ৪:৫৮ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ইটভাটার আগুনের তাপে পুড়ে গেছে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার প্রায় ৮০ বিঘা জমির পাকা ধান। তিন বছর যাবৎ এমন ঘটনা ঘটলেও মেলেনি কোন সমাধান বা কাঙ্ক্ষিত ক্ষতিপুরণ।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, সিংগাইর উপজেলার চান্দহ ইউনিয়নের রিফাইতপুর গ্রামটি ধান উৎপাদনে প্রসিদ্ধ। গ্রামের অধিকাংশ মানুষের আয়ের মূল চালিকা শক্তি কৃষির বিভিন্ন ফসল।

স্থানীয়দের বাধার মুখে ফসলি জমির ওপর গড়ে তুলেছেন সার্ক ব্রিকস সহ কয়েকটি ইটভাটা। পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র না থাকলেও ইট পোড়ানো হয় এ ভাটায়। প্রথমদিকে স্থানীয় প্রশাসন ভাটাগুলোতে যেন ইট পোড়ানো না হয় সেজন্য কয়েক দফায় অভিযান চালায়। কিন্তু পরবর্তীকালে অদৃশ্য কারণে ইট পোড়ানো হলেও প্রশাসন নিরবতা পালন করছে বলে কৃষকদের দাবি।

রিফাইতপুর গ্রামের কৃষক আক্কাস মেম্বার আজকের তরুণকণ্ঠ’কে জানান, আমি এবছর ২৫ বিঘা জমিতে ধান আবাদ করেছি। এতে খরচ পড়েছে প্রায় ১৫/১৬ হাজার টাকা। কিছুদিনের মধ্যে ধান ঘরে তোলা যেত। এরই মধ্যে ইটভাটার আগুনের তাপে পুড়ে গেচে স্বপ্নের লালিত ফসল। কষ্টে অর্জিত ফসল ঘরে তোলার আগেই পুড়ে চিটা হয়ে যাওয়ায় চিন্তায় পড়েছেন তিনি। ধান ঘরে না উঠলে পরিবার পরিজনের খাদ্যের যোগান নিয়েও শঙ্কায় আছেন তিনি।

একই গ্রামের কৃষক  শাহজাহান, আলী মুদ্দিন, মজিবর, শাহজাহান, আয়নাল ও হাসিম জানান, ফসলি জমির ওপর এই ভাটাটি গড়ে ওঠার শুরু থেকে স্থানীয় কৃষকরা প্রতিবাদ করেও সুফল পাননি। অনেক বাধার পরেও অদৃশ্য কারণে এ ভাটায় ইট পোড়ানো হয়েছে। এরই মাঝে ওই ভাটার পাশে তাদের ফসলি প্রায় ৮০ বিঘা জমির ধান পুড়ে গেছে। গত বছর তারা বিঘা প্রতি প্রায় ২৫ মণ হারে ধান পেয়েছিলেন। এ বছর উঠতি ধান চিটা হয়ে যাওয়ায় পরিবারের খাদ্য নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। উপযুক্ত ক্ষতিপূরণসহ ইটভাটা বন্ধের জোর দাবি জানান তারা।

একই গ্রামের কৃষক নবু সিদার বলেন, আমরা ভাটা মালিকের সাথে সমঝোতা করে ছি, এ বিষয় কোন কিছু করতে হবেনা।

৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য কলিমুদ্দিন সিকদার জানান, সার্ক ব্রিকসের ইট পোড়ানোর আগুনের তাপে ভাটা এলাকার পাশের প্রায় ৮০ বিঘা ইরি ধান পুড়ে গেছে বলে কৃষকরা জানালে তিনি  সরেজমিনে গিয়ে দেখে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং ভাটা মালিককে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখতে বলেন।

চান্দহর ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বাদল বলেন, ধান পুড়ার অভিযোগ পেয়েছি। ভাটা মালিক ফরিদ হোসেন-কে খবর দেওয়া হয়েছে, আগামী বরিবার (২১ মে) এ বিষয় বসা হবে। সুষ্ট সমাধান না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়কে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করেছি।

সিংগাইর উপজেলার চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান খান জানান, বিষয়টি জানতে পেরেছি এবং ইউপি চেয়ারম্যানকে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। তাদেরকে কোনও রকম ছাড় দেওয়া হবেনা।

সিংগাইর উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তা দিপন দেবনাথ জানান, বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে শুনেছি, তবে কেউ কোন অীভযোগ করেনি। খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

সর্বশেষ - সারাদেশ

আপনার জন্য নির্বাচিত