এফ এম ফজলু:
ঈদের দিন বিকালে সৌরভ রনি (২৩) হোন্ডায় বান্ধবীকে নিয়ে শোল্লা/নিলামপট্টি ব্রীজে ঘুরতে যাওয়ার সময় পূর্ব বান্দাইলে পিছু নেওয়া তিন হোন্ডা আরোহীরা আটকিয়ে শান্ত ও তার সমর্থককেরা কুপিয়ে হত্যা করার ঘটনায় গতকাল বিকেলে নিহতের বাবা নবাব আলী বাদী হয়ে সিংগাইর থানায় এজাহার ভুক্ত ৮ জন ও অজ্ঞাত নামা আরও ৪/৫ জনের নামে মামলা রুজু করেছে।
৩ মে মঙ্গলবার বিকাল ৪ ঘটিকা সময় সিংগাইর থানাধীন পূর্ব বান্দাইল গ্রামের জনৈক রফিক দেওয়ান এর মুদি দোকানের সামনে পাকা রাস্তার উপর ঘটনাটি ঘটে।
ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, প্রেম সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরিয়া এজাহার নামীয় আসামীগণ সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সিংগাইর উপজেলার পূর্ব বান্দাইল গ্রামের জনৈক রফিক দেওয়ান এর মুদি দোকানের সামনে পাকা রাস্তার উপর বাদীর ছেলে সৌরভ ( রনি) এর চালিত মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে এবং ধারালো রামদা, চাইনিজ কুড়াল, লোহার রড ও লাঠি-সোটা ইত্যাদি নিয়া রনিকে অতর্কিত ভাবে আক্রমণ করে এলোপাথারি ভাবে চর-থাপ্পড় ও কিল-ঘুষি মারে।
রনি প্রাণ ভয়ে দৌড়াইয়া পূর্ব বান্দাইলের নজর আলী নওলা এর বসত বাড়ীর চৌচালা টিনের বসত ঘরের মধ্যে আশ্রয় নিলে সকল আসামীগণ সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন উক্ত ঘরে প্রবেশ করে হাতে থাকা ধারালো চাইনিজ কুড়াল দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে রনির পিঠের বাম পাশের কোমড়ের উপরে কোপ মেরে গুরুত্বর কাটা রক্তাক্ত জখম করে।
দিতীয় জনের হাতে থাকা ধারালো রামদা দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে রনি মাথা লক্ষ্য করিয়া কোপ মারে। উক্ত কোপ রনি বাম হাত দিয়া ফিরাইলে বাম হাতের কব্জির উপরে গুরুত্বর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। এতে রনি মাটিতে পড়িয়া যায়, তাহাকে এলোপাথারি ভাবে লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়া বাইরাইয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে।
রনির ডাক-চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সকল আসামীগণ বাদীর ছেলের মৃত্যু নিশ্চিত ভাবিয়া দ্রুত মোটর সাইকেল যোগে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন বাদীর ছেলেকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করিয়া সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়া গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত বলিয়া ঘোষনা করেন।
সংবাদ পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ অফিসার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে রনি মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে এবং মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।
নিহত সৌরভ (রনি) (২৩), পিতা-নবাব আলী সাং-ওয়াইজ নগর, ইউপি-চান্দহর, থানা-সিংগাইর, জেলা-মানিকগঞ্জ।
নিহত রনির হোন্ডায় ছিল ২ মেয়ে, নদী ও লিপি, লিপিকে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য সিংগাইর থানায় আটকের পরে শর্তসাপেক্ষে জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছে।
নদী এখনও পলাতক রহিয়াছে। তবে এভাবে পলাতক থাকলে পরবর্তীতে আসামিও হতে পারে অর্থাৎ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার দোষারোপ করেছেন বাদী ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই জাহিদ।
গ্রেফতার কৃতরাহলো: আলীফ ও ইয়ামিন। তাদেরকে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।
ওসি সফিকুল ইসলাম মোল্লা প্রতি মূহুর্তে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান এর আসামি গৃহীত ব্যবস্থা (মামলা/জিডি): সিংগাইর থানার মামলা নং-২/১৩৬, তাং-০৪/০৫/২০২২ খ্রিঃ, ধারা-৩৪১/৩০২/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০ রুজু করা হয়েছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তাঃ এসআই/ মো. জাহিদুল ইসলাম, সিংগাইর থানা, মানিকগঞ্জ। অত্র এলাকায় ওসির তদারকিতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।