আতিকুর রহমান, ফ্রান্স প্রতিনিধ:
আটলান্টিক মহাসাগরের ওই পারে আমেরিকাতে গত এক সপ্তাহ যাবত মাই বডি মাই চয়েস নামে যে আন্দোলন চলছে সেটা ভাসতে ভাসতে ফ্রান্স পর্যন্ত চলে এসেছে, আমার শরীর আমার সিদ্ধান্ত এই শ্লোগানে রাস্তায় নেমেছে নারী সংগঠনগুলো ।
মূলত নারীরা গর্ভধারণ করবে নাকি গর্ভপাত করবে না তার সিদ্ধান্ত তারাই নিবে বলে এই আন্দোলনে নেমেছে, আমেরিকার আদালত নতুন আইন করে গর্ভপাত বন্ধের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যা নারী সংগঠনের মানুষগুলো মেনে নিতে পারেনি, অবশ্য আদালত এই সিদ্ধান্ত নিতে আমেরিকা প্রতিটা রাজ্যের উপর ছেড়ে দিয়েছে, এর অর্থ দাঁড়ায় ওয়াশিংটন যদি চায় তাহলে তারা তাদের রাজ্যে গর্ভপাত বৈধ করতে পারে, আবার নিউইয়র্ক যদি চায় তাহলে তারা এটাকে অবৈধই রাখতে পারে।
এতদিন পর্যন্ত পশ্চিমা বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই গর্ভপাত করাটা নারীদের অধিকারে রাখা হয়েছিল , গর্ভপাতের পক্ষে এবং বিপক্ষে অসংখ্য জনগণ বারবার রাস্তায় নেমেছে, অবশেষে আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট গর্ভপাত নিষিদ্ধ করার ফলে অধিকাংশ গর্ভপাত করানোর ক্লিনিক গুলো বন্ধ হতে শুরু করেছে।
এরই প্রেক্ষাপটে গতকাল শনিবার ২ জুলাই ফ্রান্সের প্যারিসে নারীবাদীরা আন্দোলনের ডাক দেয় , তারা বিভিন্ন স্লোগানের ব্যানার হাতে নিয়ে রাজপথে নামেন।
গর্ভপাত জীবন বাঁচায়”, “আপনার আইনগুলি আমার শরীর থেকে দূরে রাখুন” (আমার শরীর থেকে আপনার আইনগুলি সরিয়ে নিন), “নারীদের একবারের জন্য একা ছেড়ে দিন”, “সম্পদ ছাড়া অধিকার একটি অধিকার নয়”, এমন নানান ধরনের স্লোগান দিতে থাকে রাস্তায়।
সম্মিলিত “ইউরোপে গর্ভপাত – মহিলারা সিদ্ধান্ত নিন” এর আহ্বানে সংগঠিত হয় নারীরা, অনেক নারীবাদী সমিতি, ইউনিয়ন এবং রাজনৈতিক দলগুলি যোগদান করে, ফ্রান্স জুড়ে বেশ কয়েকটি বিক্ষোভের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।