সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে দলের জন্য কাজ করতে হবে। ভোটাধিকার ছাড়া কোনো গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা হতে পারেন। যতদিন পর্যন্ত গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত না হবে, ততদিন পর্যন্ত আমরা আপনাদের পাহারাদারের ভূমিকা পালন করবো। আপনাদের শান্তিতে ঘুম নিশ্চিতকল্পে বিএনপি দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ও মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতা বক্তব্যে একথা বলেন।
মানিকগঞ্জের ঘিওরের উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন হযরত ইনছান আলী চিশতিয়া দরবার শরীফের ৪৫ তম খাজা মাঈনুদ্দীন চিশতিয়া (রাঃ) এর বাৎসরিক ওরশ মোবারক ও ৫ দিনব্যাপী মেলায় বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। আমি গর্ববোধ করছি যে আজকের দিনে আপনাদের সামনে এসে আমি কথা বলতে পারছি। আপনারা দেখেছেন ১৯৭৫ সালের পট পরিবর্তনের পরে দেশে আওয়ামী সরকারের দুঃশাসন চলেছিল যার কারণে দেশের গনতন্ত্র নষ্ট হয়েছিল। ঠিক সেই মুহুর্তে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সিপাহি জনতা বিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌমত্ব, গনতান্ত্রিক ও উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিনত করেন। ঠিক একইভাবে গত ৫ আগস্ট যে পরিবর্তন এসেছে সেটা স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের কারনে ছাত্র জনতার কঠিন বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা আজকে স্বাধীনতা পেয়েছি।
তিনি আরও বলেন, এই স্বাধীনতা অর্জনে যারা জীবন দিয়েছে আত্বত্যাগ করেছে আমরা তাদের যেন ভূলে না যাই। শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দিবোনা আমরা আমাদের গনতন্ত্র এবং মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে আনবো, আর আপনারা যে সোনার বাংলাদেশ চাচ্ছেন তার জন্যে আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এর কোনো বিকল্প নেই যেটা আমাদের মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয় বলেছেন। এবং আপনারা দেখেছেন ৫ আগস্ট এরপর দেশে যখন কোনো প্রশাসন সরকার ছিলনা তখন আমাদের জাতীয়তাবাদি দলের অনুসারীরা পাহারাদারের ভূমিকা পালন করেছে। আর এই পাহারাদারের ভূমিকা পালন করা হয়েছে আমাদের চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে।
মেলা ও ওরশ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ঘিওর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি এডভোকেট আব্দুল আলিম খান মনোয়ারের সভাপতিত্বে ও ওরশ পরিচালনা কমিটির সাধারণত সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মিথুনের শুভেচ্ছান্তে আরও বক্তব্য রাখেন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক এস. এ জিন্নাহ কবীর, সহ-সভাপতি এডভোকেট আজাদ হোসেন খান, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরতাজ আলম বাহার, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মীর মানিকুজ্জামান মানিক।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী ওয়াজেদ আলী মিস্টার, সাংগঠনিক সম্পাদক আল মামুন, মিজানুর রহমান খান কুদরত, জেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক মাসুদ পারভেজ। এছাড়াও জেলা উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল এবং সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের মধ্যে দেশের জনপ্রিয় শিল্পীদের পরিবেশনায় লালন সঙ্গীত, বাউল গান, বিচার গান ও সামাজিক নাট্যানুষ্ঠান হচ্ছে। এই মেলাকে ঘিরে আশেপাশের মানুষের মাঝে আনন্দ ও উৎসাহ দেখা দিয়েছে। মেলার আঙিনা জুড়ে বসেছে কয়েক শত হরেক রকমের দোকান। নাগর দোলা, বিনোদন, মুখরোচক খাবার ও তৈজসপত্র বিক্রির ধুম পড়েছে।