মানিকগঞ্জের সিংগাইরে প্রেমিকযুগলের ছবি ব্লাকমেইল করে অন্যের প্রেমিকাকে কুপ্রস্তাবের জেরে হ্যত্যার শিকার রুবেলের লাশ উদ্ধারের ৬ ঘন্টা পর রহস্য উদঘাটনসহ মূলহোতা প্রেমিকযুগলকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪, সিপিসি-৩।
নিহত রুবেল পার্শ্ববর্তী ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের ফোর্ডনগর ফকিরপাড়া গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে ও দুই সন্তানের জনক।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের ফোর্ডনগর গ্রামের মো. আবদুস সালামের পুত্র মো. বিজয় (১৯) ও একই গ্রামের মো. আল আমিনের স্ত্রী মোছা. শ্রাবনী আক্তার (১৮)।
র্যাব-৪ সিপিসি-৩ (মানিকগঞ্জ) এর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোম্পানী কমান্ডার লে. কমান্ডার মো. আরিফ হোসেন।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকাল ৪ টার দিকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের ফোর্ডনগর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত বিজয়, শ্রাবনী আক্তার ও ভিকটিম রুবেল হোসেন প্রতিবেশী। শ্রাবনী আক্তারের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ভিকটিমের প্রতিবেশী ভাতিজা বিজয়ের সাথে। এ নিয়ে এলাকায় জানাজানি হলে ভিকটিম রুবেল ঘটনার ৫ দিন আগে বিজয়ের মোবাইলে প্রেমের সম্পর্কের কিছু স্পর্শকাতর ছবি তার নিজের মোবাইলে নিয়ে নেয়। এরপর এ অবৈধ সম্পর্ক থেকে সরে আসতে বলে ভিকটিম রুবেল শ্রাবণীকে কু-প্রস্তাব দেয়। তার প্রস্তাবে রাজি না হলে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। এবিষয়টি শ্রাবনী তার প্রেমিক বিজয়কে জানিয়ে দেয়। পরে বিজয় ও শ্রাবনী ক্ষিপ্ত হয়ে রুবেলকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এ জের ধরে গত ৬ নভেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক ১ টার দিকে শ্রাবনী মোবাইলের মাধ্যমে রুবেলকে ফোর্ডনগরে আক্তার ডেইরী ফার্ম সংলগ্ন ধলেশ্বরী নদীর পাড়ে ডেকে আনে। এসময় রুবেল ও শ্রাবনী দেখা করে কথা বলতে থাকে। এরই মধ্যে সেখানে আগে থেকেই ওৎ পেতে থাকা বিজয় শ্রাবনীর সহায়তায় ইট ও কাপড় কাটার ক্যাঁচি দিয়ে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ নদীতে ফেলে দিয়ে দুজনেই চলে যায়।
এদিকে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে পুলিশ খবর পেয়ে ফোর্ডনগরে ধলেশ্বরী নদীর মিলনের ঘাটের উত্তর পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে মর্গে প্রেরণ করে।
লে. কমান্ডার মো. আরিফ হোসেন বলেন, লাশ উদ্ধারের ৬ ঘন্টার তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তায় রুবেল হত্যায় জড়িত আসামিদ্বয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার ঘটনা শিকার করেছে গ্রেফতারকৃতরা। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের সিংগাইর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।