মো. কামরুল হোসেন সুমন, স্টাফ রিপোর্টার, লালমোহন:
ভোলার লালমোহনে বাজার দখল নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত যুবদল নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অভস্থায় মারা যান তিনি। আবু তৈয়ব লালমোহন বদরপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এদিকে আবু তৈয়বের মৃত্যুর ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা যুবদল সভাপতি কবির হাওলাদারের নেতৃত্বে লালমোহন বাজারে প্রতিবাদ মিছিল করা হয়েছে।
বদরপুর (উত্তর) বিএনপির সভাপতি শহিদুল্যাহ মেলকার জানান, ৫ আগস্টের আগে ওই বাজার থেকে চেয়ারম্যান আসাদ উল্যাহ মেলকার ইচ্ছামতো টোল আদায় করতো। পরে পটপরির্তন হলে স্থানীয় বিএনপির নেতৃত্বে স্বাভাবিকভাবে টোল আদায় শুরু করে। বাজারটির টোল কালেকশন আবার পূনরুদ্ধার করতে স্থানীয় ও বহিরাগত ক্যাডার দিয়ে সোমবারে হামলা চালানো হয়। এসময় বিএনপি ও নব্য বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে শহিদুল্যাহ মেলকারসহ তার ছেলে লোকমান, নাতি শাওন, আবু তৈয়ব, মাকসুদ উল্যাহকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। আবু তৈয়ব ও শাওনকে ঢাকা মেডিকেলে নিলে সেখানে আবু তৈয়ব মারা যায়। শহিদুল্যাহ মেলকার বলেন, বাজার লুটপাট করতে সাবেক চেয়ারম্যান স্থানীয় হাইব্রিড কামাল সুইচকে ব্যবহার করে এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। এরা আওয়ামীলীগকে আবারো প্রতিষ্ঠিত করতে চায়।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম বাবুল পঞ্চায়েত আওয়ামী সন্ত্রাসী কর্তৃক যুবদল নেতা নিহতের ঘটনায় নিন্দা জানান এবং হামলাকারীদের দৃস্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।
এ বিষয়ে লালমোহন থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, মারামারির পর ওইদিনই মামলা হয়েছে। মামলায় কামাল সুইচসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার সকালে (১৮ নভেবম্বর) দেবিরচর বাজার কালেকশন নিয়ে বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে ওই ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ সমর্থিত সাবেক চেয়ারম্যান আসাদ উল্যাহ মেলকারের ইন্ধনে স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দের উপর হামলা চালায় বলে দাবী করেছে বিএনপি নেতৃবৃন্দ।