নিজস্ব প্রতিনিধি:
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ডা. কেরামত আলী হাসপাতালের বিরুদ্ধে সিজারিয়ান অপারেশন রোগী তাজ নাহার (২৫) এর নবজাতক পুত্র-শিশুকে কর্মরত ডাক্তার মাহমুদা সুলতানা সাকী, নার্স শিরিনা আক্তার, আয়া দিপালী রানী দাস ও ক্যাশিয়ার মো. জাহিদ খান-গণ বেপরোয়া ও তাচ্ছিল্য সহকারে নবজাত শিশুর দুই পায়ে গরম থেরাপি প্রদান করিয়া গুরুতর জখম করে।
উল্লেখিত ঘটনায় জখমী নবজাত শিশুর পিতা মো. শুকুর আলী বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দাখিল করলে সূত্রোক্ত মামলা রুজু হয় এবং বিভিন্নস্থানে অভিযান পরিচালনা করে ঘটনায় জড়িত নার্স শিরিনা আক্তার, আয়া দিপালী রানী দাস ও ক্যাশিয়ার মো. জাহিদ খান কে গ্রেফতার করে।
মামলার ১ নং আসামী ডা. মাহমুদা সুলতানা সাকী পলাতক রয়েছেন।
বাদী মো. শুকুর আলী অভিযোগপত্রে উল্লেখ্য করেন। তার স্ত্রী তাজ নাহার গত ১৮ মার্চ প্রসববেদনা নিয়ে সিংগাইরের ডা. কেরামত আলী হাসপাতালের গাইনী ডা. মাহমুদা সুলতানা সাকীর তত্ত্বাবায়নে সিজারিয়ান করানো হয়। রাত ২ টার দিকে একটি পুত্র সন্তানেন জন্ম হয়। তার শিশু নবজাতক শিশু সন্তান কান্না না করায় তাকে রুমহিটার দিয়ে তার পায়ের ১০টি আঙ্গুলে হিট দেয়া হয়। এতে নবজাতক শিশুর পায়ের ১০টি নক পুড়ে যায়। ডা. মাহমুদা সুলতানা সাকী এমন অবস্থায় তাদের ঢাকার একটি হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেন। ঢাকার একটি হাসপাতালে প্রায় ১৭ দিন ধরে চিকিৎসা চলছে এতে প্রায় তার কয়েক লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে বলে তিনি জানান ।
শুকুর আলী আরও জানান, ঢাকার চিকিৎসকরা বলেছেন তার নবজাতক পুত্র সন্তানের দু পায়ের ৮টি আঙ্গুল সার্জারী করতে হবে এবং দুটি আঙ্গুল কেটে ফেলতে হবে।
থানা সুত্র জানা যায়, গ্রেফতারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। উক্ত ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা অব্যাহত আছে।