পঞ্চগড়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার স্বাক্ষর নকল করে মামলার তদবিরে পুলিশ কর্মকর্তাকে চিঠি দেওয়ার ঘটনায় মোজাম্মেল হক নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা।
শুক্রবার দুপুরে গ্রেপ্তার মোজাম্মেলকে আদালতে পাঠানো হয়। এ সময় পুলিশ তিনদিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গ্রেপ্তার মোজামেম্মল উপজেলা সদরের হাফিজাবাদ ইউনিয়নের পানিমাছপুকুরি এলাকার ফয়জুল হকের ছেলে। তিনি ওই এলাকায় একটি সেলুনে কাজ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, অভিযুক্ত মোজাম্মেল হক জমি নিয়ে বিরোধে বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের একটি মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দুইটি আবেদন করেন। আবেদনে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সুপারিসসহ সই জাল করে পঞ্চগড় পুলিশ সুপার এবং জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠান। শুপারিশে প্রতিপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এসব আবেদনে করা সই এবং সিলমোহর দেখে সন্দেহ হয়। এ নিয়ে জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নেন। পরে জানতে পারেন, সই ও সিলমোহর জাল করে প্রতারণার চেষ্টা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার মোজাম্মেল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আবেদন দুটি করেছেন বলে স্বীকার করেন। তবে নিজে নয় তার পরিচিত একজন সই ও সিলমোহর জাল করেছেন বলে জানান। এ চক্রটি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সই ও সিলমোহর জাল করে এমন আরও ঘটনা ঘটাতে পারে। এজন্য পুরো চক্রটিকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা বলেন, প্রতারণার ঘটনা বুঝতে পেরে সদর থানার এসআই মাসুদ রানা এবং এসআই মো. রশিদুল আলম চৌধুরী বাদি হয়ে মো. মোজাম্মেল হক ও তার অজ্ঞাতনামা সহযোগীদের বিরুদ্ধে দুইটি মামলা করেন। শুক্রবার দুপুরে গ্রেপ্তার মোজাম্মেলকে আদালতে পাঠানো হয়। এ সময় পুলিশ তিনদিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।