রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফ পুরুষের জন্য সুন্নতে মুয়াক্কাদা আলাল কিফায়া। অর্থাৎ মহল্লার মসজিদে পুরুষদের মধ্যে একজনও যদি ইতিকাফ করে তাহলে পুরো মহল্লাবাসী দায়মুক্ত হয়ে যাবে। আর নারীদের জন্য ইতিকাফ করা মুস্তাহাব। নারীদের ইতিকাফের স্থান: মহিলাদের নামাজের স্থান তাদের ঘরের অন্দরমহল; মসজিদ নয়।
নারীরা নিজ ঘরে বা নির্দিষ্ট কক্ষে ইতেকাফ করবেন। প্রাকৃতিক প্রয়োজন ও একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ওই ঘর বা কক্ষ থেকে বেরুবেন না। অজু-ইস্তিঞ্জার জন্য বাইরে বেরুলে কারও সঙ্গে কথাবার্তা বলবেন না বা সালাম-কালাম করবেন না।
তবে দরকার হলে ওই কক্ষের ভেতর থেকে বাইরের কাউকে ডাকতে পারবেন। কেউ ভেতরে এলেও তার সঙ্গে কথাবার্তা বলতে পারবেন। ইতেকাফ কক্ষে এমন কেউও অবস্থান করতে পারবেন, যারা ইতেকাফ করছেন না।
ইতেকাফ কক্ষটি যদি শয়নকক্ষ হয় এবং একই কক্ষে বা একই বিছানায় অন্য যে কোনো কেউ অবস্থান করেন, তাতেও কোনো ক্ষতি নেই। এমনকি স্বামীও পাশে থাকতে পারবেন। তবে স্বামী-স্ত্রীসুলভ আচরণ ইতেকাফ অবস্থায় নিষিদ্ধ। এর দ্বারা ইতেকাফ নষ্ট হয়ে যাবে।
ইতেকাফের সময় ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন। যেমন—কোরআন শরিফ তেলাওয়াত করা, নফল নামাজ পড়া, কাজা নামাজ আদায় করা, দোয়া-দুরুদ পাঠ করা, জিকির-আজকার করা, তাসবিহ-তাহলিল পাঠ করা। এ ছাড়া দ্বীনি কথাবার্তা ও ধর্মীয় জ্ঞান চর্চা করাও সওয়াবের কাজ। যথা—কোরআন-হাদিস, ফিকহ-তাফসির ইত্যাদি পাঠ করা ও তালিম করা।