মো. ফারুক হোসেন, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি:
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি একই ব্যাক্তি তিনি হচ্ছেন, বদলগাছী উপজেলার ৪নং মিঠাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফিরোজ হোসেন।
জানা যায়, তিনি উপজেলার মিঠাপুর সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা, ইসমাইলপুর রাহমানিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা, সাগরপুর হাইস্কুল এবং খাদাইল দাখিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে দলীয় ও চেয়ারম্যানী প্রভাবে তিনি শিক্ষা নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখান।
গত ৪ই এপ্রিল-২৩ চেয়ারম্যান ফিরোজ হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে আছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “কে বলে মিথ্যা কথা”।
এ বিষয়ে তথ্য অধিকার আইনে সাংবাদিক সংস্থা বদলগাছীর সহ-সভাপতি এবং মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সভাপতি এনামুল কবীর এনাম গত ০৪/০৪/২০২৩ইং তারিখে আবেদন করলে, গত ১০/০৪/২০২৩ইং তারিখে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ওয়াসিউর রহমান লিখিত ভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম, সভাপতির নাম সহ তথ্য প্রদান করেন।
এলাকার সচেতন মহল সরেজমিনে গিয়ে জানতে পারে যে, একই ব্যাক্তি কয়টি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হতে পারেন জানতে চাইলে, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ওয়াসিউর রহমান বলেন, “দুই এর অধিক না” এবং একটানা কত বছর যাবত সভাপতি থাকতে পারেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “দুই টার্মের বেশি না”।
এবিষয়ে মিঠাপুর সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মোঃ মুজাহিদ ইসলাম বাবলুর কাছে মোবাইল ফোনে আপনার প্রতিষ্ঠানের সভাপতি কে জানতে চাইলে তিনি বলেন উক্ত প্রতিষ্ঠানে সভাপতি চেয়ারম্যান ফিরোজ হোসেন।
সাগর পুর হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষক এনামুল হকের মোবাইল ফোনে আপনার বিদ্যালয়ের সভাপতির নাম কি জানতে চাইলে, তিনি বলেন, আলহাজ্ব ফিরোজ হোসেন এবং ইসমাইলপুর সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল এবাদুর রহমানের মোবাইল ফোনে আপনার প্রতিষ্ঠানের সভাপতি কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চেয়ারম্যান ফিরোজ হোসেন এবং খাদাইল দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মোস্তফা’র মোবাইল ফোনে সভাপতির নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন মিঠাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফিরোজ।
মিঠাপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সুপরিচিত যুববান্ধব নেতা আতিকুল ইসলাম আতিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুই বারের অধিক এবং দুইটি প্রতিষ্ঠানের বেশি সভাপতি শিক্ষা নীতি আইনের পরিপন্থী বলে মনে করি, সঠিক তুলে ধরা উচিত। উক্ত বিষয়টি নিয়ে মিঠাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আহসান হাবীবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুই প্রতিষ্ঠানের বেশি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি থাকা বেআইনি। স্থানীয় এলাকার স্বচেতন নেতারা বলেন, নিজের জন্য সভাপতি ও রাজনৈতিক প্রভাবে অন্য নেতাদেরকে কোন সুযোগ দিতে চান না তিনি।