ajkertarunkantho
বুধবার , ১৯ এপ্রিল ২০২৩ | ২০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ-দুর্নীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইসলাম ও জীবন
  5. কৃষি সমাচার
  6. খেলাধুলা
  7. জনদুর্ভোগ
  8. জাতীয়
  9. ধর্ম ও সংস্কৃতি
  10. প্রবাস সমাচার
  11. বাণিজ্য
  12. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. রাজনীতি

বাড়ি ভাড়ার যাকাত দিতে হবে?

প্রতিবেদক
নিউজ রুম
এপ্রিল ১৯, ২০২৩ ৪:১২ অপরাহ্ণ
বাড়ি ভাড়ার যাকাত

যাকাত ফরজ ইবাদত এবং ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ। পবিত্র কোরআনে যেখানে নামাজের কথা এসেছে, সেখানেই দেখা যায় যাকাতের কথা। সুরা বাকারার এক আয়াতে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই যারা ঈমান এনেছে, সৎ কাজ করেছে, সালাত প্রতিষ্ঠা করেছে এবং যাকাত দিয়েছে, তাদের প্রতিদান রয়েছে তাদের রবের নিকট। আর তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা চিন্তিতও হবে না।’ (সুরা বাকারা: ২৭৭)

সব ধরনের সম্পদের ওপর যাকাত ফরজ হয় না। শুধুমাত্র সোনা-রুপা, টাকা-পয়সা, পালিত পশু এবং ব্যবসার পণ্যে জাকাত ফরজ হয়। বর্তমানে বাসা-বাড়ি নির্মাণ করে ভাড়া দেয়া ব্যবসার অন্তর্ভুক্ত।

প্রশ্ন হলো— ভাড়ার উদ্দেশ্যে নির্মিত বাড়ি ও মার্কেটের ওপর যাকাত আসবে কি না?

উত্তর হলো— বাড়ি ও মার্কেটের মূল্যের ওপর যাকাত আসবে না। তবে এগুলো থেকে অর্জিত অর্থ (ভাড়া) যদি নিসাব পরিমাণ হয়, তাহলে বছরান্তে জাকাত আসবে।

(বাদায়েউস সানায়ে: ২/১৬, আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল: ৬/১১৪, ফতোয়ায়ে ফকিহুল মিল্লাত: ৫২৭)

যাদের যাকাত দিলে আদায় হবে না
আবার ব্যবসার নিয়তে কোনোকিছু ক্রয় করলে তা স্থাবর সম্পত্তি হোক— যেমন জমি-জমা, ফ্ল্যাট কিংবা অস্থাবর সম্পত্তি হোক— যেমন মুদি সামগ্রী, কাপড়-চোপড়, অলংকার, নির্মাণ সামগ্রী, গাড়ি, ফার্নিচার, ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী, হার্ডওয়ার সামগ্রী, বইপুস্তক ইত্যাদি— তা বাণিজ্য-দ্রব্য বলে গণ্য হবে এবং মূল্য নিসাব পরিমাণ হলে যাকাত দেয়া ফরজ হবে।
(মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক: ৭১০৩-৭১০৪)

ব্যবসার নিয়ত না থাকলে ফ্ল্যাট, বাড়ি বা জায়গা-জমির ওপর যাকাত ওয়াজিব হবে না। ‘জমির ওপর যাকাত ওয়াজিব হওয়ার শর্ত হচ্ছে, তা ক্রয়ের সময় ব্যবসার নিয়ত করা। যদি ক্রয়ের পর ব্যবসার নিয়ত করে বা এই নিয়তে যদি ক্রয় করে যে, যদি লাভ হয় তাহলে বিক্রি করে দেবে তাহলে যাকাত ওয়াজিব হবে না।’
(আদ দুররুল মুখতার, খণ্ড-৩, পৃষ্ঠা-২২৯)

নিসাব কী?
যাকাত ফরজ হওয়ার জন্য সম্পদের নির্ধারিত পরিমাণকে যাকাতের নিসাব বলে। জীবনযাত্রার প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহের পর যদি বছর শেষে কমপক্ষে সাড়ে ৭ তোলা সোনা অথবা কমপক্ষে সাড়ে ৫২ তোলা রুপা অথবা এ পরিমাণ মূল্যের সম্পদ কারো কাছে অবশিষ্ট থাকে, তার জন্য যাকাত আদায় করা ফরজ। এ পরিমাণ সম্পদে সোনা, রুপা বা সম্পদের মূল্যের ৪০ ভাগের এক ভাগ যাকাত দিতে হবে। এটাই হচ্ছে যাকাতের নিসাব। এ ছাড়াও ফসল ও পশুর ওপরও জাকাত ধার্য হয়।

যাকাতের পরিমাণ
যে সম্পদের ওপর যাকাত ফরজ, তার ৪০ ভাগের এক ভাগ (২.৫ শতাংশ) যাকাত দেয়া ফরজ। সম্পদের মূল্য নির্ধারণ করে শতকরা আড়াই টাকা বা হাজারে ২৫ টাকা হারে নগদ অর্থ কিংবা ওই পরিমাণ টাকার কাপড়চোপড় বা অন্য কোনো প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনে দিলেও যাকাত আদায় হবে।
(আবু দাউদ: ১৫৭২, সুনানে তিরমিজি: ৬২৩)

সর্বশেষ - সারাদেশ