
ঘরমুখো মানুষের ভিড়ে টইটম্বুর এখন বন্দরনগরীর বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড, রেলওয়ে স্টেশন। পরিবার পরিজনের সঙ্গে ঈদ করতে নগরবাসী পাড়ি জমাচ্ছেন গ্রামে। এতে ফাঁকা হচ্ছে শহর, বিপরীতে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরছে গ্রামে।
শুধু অলংকার মোড় নয়, এদিন নগরীর অন্যান্য বাস কাউন্টারেও ভিড় দেখা গেছে। গতকাল বুধবার সকালে কদমতলী বাসস্ট্যান্ড, গরিবুল্লাহ শাহ মাজার গেট, বিআরটিসি বাসস্ট্যান্ডসহ রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে দূরপাল্লার ঘরমুখো মানুষ স্টেশনে অপেক্ষা করছেন বাসের জন্য। তবে যানজট না থাকায় বেশি সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বাস কাউন্টারের প্রতিনিধিরা।
চট্টগ্রামের আশপাশের জেলা নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর যাওয়ার বাসগুলোতেও ছিল যাত্রীর প্রচণ্ড চাপ। কোনো বাসই ফাঁকা ছিল না। এদিকে শহরের মধ্যে কমেছে যাত্রীবাহী যানবাহন, কমছে যানজট।
দুপুরে অলংকার মোড় থেকে ফেনী যান বাসিন্দা মোশারফ হোসাইন। তিনি বলেন, বাড়ি যাওয়ার জন্য দুপুর ১২টায় বাসা থেকে বের হয়েছি। অলংকার মোড় থেকে বাসে উঠেছি। দুপুর হওয়ায় সেখানে ঘরমুখো মানুষের ভিড় খুব একটা ছিল না। অলংকার মোড় থেকে মহিপাল আসতে আমার সময় লেগেছে মাত্র দেড় ঘণ্টা। একই কথা জানালেন অন্যান্য যাত্রীও।
তারা বলেন, এবার ঈদের তিন দিন আগে থেকে ছুটি পাওয়ায় যাতায়াতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে না। যেখানে অন্যান্য বছর টিকিটের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হতো, সেখানে এবার সামান্য অপেক্ষাতে টিকিট মিলছে।
তবে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে দূরপাল্লার বাসে। শেষ মুহূর্তে এসে এখন অনেকে দূরপাল্লার টিকিট পাচ্ছেন না। অগ্রিম টিকিট বিক্রির কারণে ইতোমধ্যে দূরপাল্লার বাসের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। যে কারণে অনেক যাত্রী বাস কাউন্টারে গিয়ে টিকিট পাচ্ছেন না।
যশোর যাওয়ার জন্য নগরীর গরিবুল্লাহ শাহ মাজার এলাকায় হানিফ কাউন্টারে আসেন নগরীর ইপিজেড এলাকার বাসিন্দা ইকরাম কবির। কাউন্টারে এসে দেখেন বাসের টিকিট নেই। তিনি বলেন, অগ্রিম টিকিট কেটে রাখিনি, ভেবেছিলাম কাউন্টারে এসে টিকিট পাব। কিন্তু এখন এসে দেখি টিকিট নেই।
সৌদিয়া পরিবহনের কল সেন্টারে কর্মরত জারির হোসেন বলেন, শেষ মুহূর্তে এসে অনেকে সিট পাচ্ছেন না এটি সত্য। প্রতি গাড়িতে চার থেকে ছয়টি সিট স্টাফদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ থাকে। সেগুলো ইতোমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে।