মালির সরকার জানিয়েছে, আবার “জঙ্গি তৎপরতা” শুরু হওয়ায়, দেশজুড়ে একাধিক সহিংস ঘটনা ঘটেছে। এসব সহিংসতায় ১০ বেসামরিক ব্যক্তি ও ৩ সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। এসময় “হত্যা” করা হয়েছে ৮৮ জন জিহাদিকে ।
মালি সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শনিবার ভোরে সন্দেহভাজন জিহাদিরা মধাঞ্চলীয় মোপতি প্রদেশের সেভার বিমানবন্দর এলাকায় গাড়ি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হামলা চালায়। এ হামলায় ১০ বেসামরিক ব্যক্তি নিহত ও ৬১ জন আহত হন।
বিবৃতিতে আরো জানানো হয়,“আমাদের সাহসী সশস্ত্র বাহিনীর কালজয়ী দৃঢ়তাকে ধন্যবাদ, তারা সম্পূর্ণ নিজেদের রসদ ব্যবহার করে হামলাকারীদের পরাস্ত করেছে এবং ২৮ জঙ্গিকে হত্যা করেছে।” বিবৃতিতে বলা হয়, পৃথক ঘটনায় মালির সেনাবাহিনী “মৌরদিয়াতে একটি জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয় ধ্বংস করেছে এবং বোনিতে ৬০ জঙ্গিকে হত্যা করেছে”।
বোনির অবস্থান মোপতি অঞ্চলে; আর, মৌরদিয়ার অবস্থান মৌরিতানিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি কৌলিকোরো অঞ্চলে। নারার গভর্নরের কার্যালয় শনিবার এক বিবৃতিতে জানায়, “মৌরদিয়া থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে, নারার উদ্দেশে রওনা হওয়া মালির সশস্ত্র বাহিনীর একটি রসদ সরবরাহ বহর অতর্কিত হামলার শিকার হয়।”
মঙ্গলবার একটি সরকারি প্রতিনিধিদল নারার কাছাকাছি একটি এলাকায় একই ধরনের অতর্কিত হামলার শিকার হয়। সে সামলায় মালির অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্টের চিফ অফ স্টাফ এবং অপর ২ ব্যক্তি নিহত হন। হামলার দায় স্বীকার করেছে আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত জামাআ’ত নাসর আল-ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন।
সরকারের বিবৃতিতে জানানো হয়, শনিবার বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে রাজধানী বামাকোর একটি আবাসিক এলাকায় ভূপাতিত হলে, সামরিক বাহিনীর ৩ ক্রু সদস্য নিহত হন এবং আহত হন ৬ বেসামরিক ব্যক্তি।বিবৃতিতে বলা হয়, “বামাকোতে একটি নিয়মিত আকাশ-নজরদারি অভিযান শেষে” হেলিকপ্টারটি ভূপাতিত হয়।
২০১২ সালে দেশের উত্তরাঞ্চলে জিহাদি ও বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহ দেখা দেয়ার পর থেকে নিরাপত্তা সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে মালি। ২০২০ সালের আগস্ট থেকে মালি শাসন করছে একটি সামরিক জান্তা।
সামরিক জান্তা, জিহাদ বিরোধী যুদ্ধে দীর্ঘ দিনের মিত্র ফ্রান্স ও পশ্চিমের অন্য অংশীদারের সঙ্গে মৈত্রী ভঙ্গ করেছে। এর পর, জান্তা সরকার সামরিক ও রাজনৈতিকভাবে রাশিয়ার প্রতি ঝুঁকে পড়ে।