নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলায় জমির জাল দলিল সৃজনের মামলায় পুলিশের অভিযানে এক আসামিকে আটক করেছে চরজব্বর থানা পুলিশের একটি টিম। এর আগে একই মামলায় আরো দুজনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ।
গত ৩০ এপ্রিল (রবিবার) রাত ১০ টায় নোয়াখালী সদর উপজেলার মাইজদী দত্তের হাট গুরু বাজার থেকে চক্রের মূল হোতা ও মামলার প্রধান আসামি আব্দুল হক কবিরকে আটক করে চরজব্বর থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত জাল দলিল সৃজনকারী আব্দুল হক কবির (৫০) উপজেলার ০৮নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চর আলা উদ্দিন গ্রামের ফজলুল হকের পুত্র।
ঐ মামলায় অন্য আসামিরা হলো, চর আলা উদ্দিন গ্রাম ও চর তোরাব আলী গ্রামের সামছল হকের পুত্র বোরহান উদ্দিন (৫২), মৃত হোসেনের পুত্র তাহের (৩০), আব্দুল্যাহর পুত্র আবুল কালাম বাবুল (৩৮) এবং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চর তোরাব আলী গ্রামের আব্দুল্যাহর পুত্র সাইফুল ইসলাম (৩৫)।
ভিকটিম মামলার বাদী চর আলা উদ্দিন গ্রামের মৃত আব্দুল আহাদের পুত্র আব্দুল মোতালেব (৬৮) তথ্যসূত্রে জানাযায়, গ্রেফতারকৃত আব্দুল হক কবির সুধারাম সেটেলমেন্ট অফিসে দীর্ঘ দিন ধরে জমির দালালি করে আসছে একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে।
তার সাথে উপরোক্ত অভিযুক্তরা ভিকটিম গ্যাংদের সহায়তা করে আসছে।
অভিযুক্ত আব্দুল হক কবির চর আলা উদ্দিন মৌজার ৫৬৩ এবং ১২৪ ডিপি খতিয়ান প্রস্তুুত করে থাকে।
কখনো নিজ নামে, আবার কখনো অন্যের নামে দলিল লেখক সেজে দীর্ঘ দিন সে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে বিভিন্ন মৌজাতে দিয়ারা ও খাস জমির ভূয়া নথি জাল দলিলসৃজন করে আসছিলো।
অভিযোগ রয়েছে চরক্লার্ক ইউনিয়নের দলিল লেখক আনোয়ারের ছত্রছায়াতলে থেকে সে সুবর্ণচর উপজেলার বিভিন্ন মৌজায় অসংখ্য জাল দলীল করে সরকারের বিপুল পরিমাণে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে ভিকটিম আব্দুল মোতালেব বাদী হয়ে নোয়াখালী সিনিয়র চীফ জুড়িশিয়াল ম্যাজিট্রেড আদালতে একটি মামলা করেন। যাহার মামলা নং সিআর ১৩২/২৩ ইং।
ভিকটিম আব্দুল মোতালেব জাল দলিল এবং ভূয়া নথি করে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজি করে আসছে। গড়ে তুলেছে চক্রটি অটেল সম্পদের পাহাড়। এই চক্রটির কারণে এলাকায় জায়গা জমি নিয়ে প্রায় সময় মারধরসহ নানা মামলা মোকাদ্দমার শিকার হতেন অনেক অসহায় পরিবার।
তাদের এমন জাল জালিয়াতির কারনে অনেক অসহায় গরিব মানুষ তাদের জায়গা জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পথে বসে গেছে।
অভিযুক্তরা প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে কেউ মুখ খুলতোনা সহজে।
আব্দু্ল কবিরকে গ্রেফতারের খবরে এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করেন ভিকটিম একাধিক পরিবার।
এলাকাবাসী ও মামলার আইনজীবী এনাম হোসেন বলেন, জাল দলিল সৃজনকারি আব্দু্ল হক কবিরের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে।
মামলাল তদন্ত কর্মকর্তা চরজব্বর থানার এসআই নুরুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত আবুল কালাম বাবুল, সাইফুল ইসলাম এবং মূল আসামি মোতালেবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য ২ আসামি পলাতক আছে, তাদের কেও গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
উক্ত মামলায় আসামিদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
সচেতন মহলের দাবী, দুদক নোয়াখালী কার্যালয় চক্রটির সদস্য আনোয়ারসহ অন্যদের সম্পদের আয়,ব্যাংক হিসাব জব্দ করলে আরোও অনেক রাঘোববয়ালরা ধরা পড়বে।
জনগণ মুক্তি পাবে শত শত মিথ্যা মামলা থেকে।