০৪:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩

সিংগাইরে সওজ‍‍`র জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ

স্টাফ রিপোর্টার:

হেমায়েতপুর-সিংগাইর-মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা চোখের সামনে দখল হয়ে গেলেও অদৃশ্য কারণে কর্তৃপক্ষের নিরভতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এলাকাবাসি। দখলের পর নয় দখলের পূর্বেই দখল বন্ধে প্রয়োজনীয় ব‍্যবস্থা চান তারা।

দখল বিষয়ে ইতিপূর্বে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রচার হলেও কর্তৃপক্ষ কার্যকরী কোন ব‍্যবস্থা না নেয়ায় এ সড়কের ভাষা শহিদ রফিক সেতুর পশ্চিম প্রান্তে ধল্লা পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন দক্ষিণ ধল্লা এলাকায় অবৈধভাবে দখলের প্রতিযোগীতায় নেমেছে কতিপয় ক্ষমতাধর দখলদার। বাংলাদেশ সড়ক ও মহাসড়ক আইন অনুযায়ী কোনো সড়ক বা মহাসড়কের ৩০ ফুটের মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। কিন্তু সে আইনের প্রতি কারো কোন তোয়াক্কা নেই ।

সরেজমিনে (৮ মে) দেখা গেছে, দক্ষিণ ধল্লা এ‍্যাসপায়ার গার্মেন্টসর গেইট সংলগ্ন স্থানে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা দখল করে কর্তৃপক্ষের কোন অনুমতি না নিয়েই মো. আব্দুল আলী ও মো. ফারুক হোসেন স্থায়ী দোকান ঘর নির্মাণ করেছেন যা কিনা কর্তৃপক্ষের একেবারেই চোখের সামনে।

এছাড়াও গেল প্রায় ৩বছর পূর্বে স্থানীয় মো. ফজলুর রহমান, মো. লাবু মিয়া, মো. সোবান শাহ, মোসা. দিলরুবা, ইসমাইল হোসেন, মো. নান্টু, মোঃ সাইফুল ইসলাম, মো. সোহেল ও মো. আলিম টিনের ও আঁধা পাকা ঘর নির্মাণ করে অন‍্যদের কাছে অর্থের বিনিময়ে ভাড়া দিয়েছে।

জানা গেছে ১৯৯৫-৯৬ সালে হেমায়েতপুর-সিংগাইর-মানিকগঞ্জ মহাসড়ক বর্ধিত করণের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে সুদক্ষিরা মৌজা থেকে ৩.৬২ একর এবং ধল্লা মৌজা থেকে ৩.১৫ একরসহ মোট ৬.৭৭ একর বা ২০.৪৮ বিঘা (৬৭৭শতাংশ) জমি অধিগ্রহণ করা হয় যার এল.এস কেইস নং ৬/৯৫-৯৬। এরপর কয়েক দফায় সড়কটি বর্ধিত করা হলেও রফিক সেতুর পশ্চিম প্রান্তের খান ফুড থেকে এ‍্যাসপায়ার গার্মেন্টসর গেইট পর্যন্ত স্থানটিতে অধিগ্রহণকৃত জায়গার বড় একটি অংশ এতো দিন ফাঁকা পড়ে ছিল। কিন্তু সুযোগ সন্ধানী দখলদারদের থাবায় সে জায়গাগুলোয় এখন তৈরি হচ্ছে ব‍্যক্তিগত ব‍্যবসায়ি প্রতিষ্ঠান।

এমনিতেই সড়কটিতে প্রায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছেন অগণিত মানুষ । তার ওপর এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও খাবার হোটেলের সামনে পার্ক করে রাখা বিভিন্ন যানবাহনের লম্বা লাইনের কারণে চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে এ সড়কে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিন্নাডাঙ্গী এলাকার জনৈক ব‍্যক্তি বলেন, দখলদারদের মধ্যে কেউ কেউ সরকারি দলের ক্ষমতাধর লোক হওয়ায় সাধারণ মানুষ মুখ খুলতে সাহস পায়না। আবার অন‍্যান‍্য স্থানে অনেকেই এদের দেখাদেখি দখলে উৎসাহি হচ্ছে। তাই অতি সত্তর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট জোড় দাবি জানান তিনি।

দখলদার মো. আব্দুল আলী ও মো. ফারুক হোসেনের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, সরকারি জমি পড়ে থাকে। এ কারণে আমরা দোকানপাট তৈরি করেছি। স্থাপনা নির্মাণে আমরা সওজ এর কাছ থেকে কোন অনুমতি নেইনি। সরকার যদি কখনো আমাদের এ স্থাপনা ভেঙ্গে দিতে বলে তখন আমরা নিজরাই ভেঙ্গে দিবো। তবে এখন পর্যন্ত স্থাপনা নির্মাণে আমরা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোন ধরনের নিষেধাজ্ঞা পাইনি। অপর দখলদারদের সঙ্গে কথা বললে তারাও একই কথা জানান।

সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিপন দেবনাথ বলেন, ওই জায়গার দখল রোধে আমি জেলা মাসিক সমন্বয় সভায় কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব‍্যবস্থা নিতে অনুরোধ করবো।

মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলী মো. আলমগীর হোসেন বলেন, সড়কের ওই অংশটুকু মানিকগঞ্জ জেরার সীমানায় হলেও অধিগ্রহণকৃত ওই জায়গা ঢাকা সড়ক ও জনপথ বিভাগের। তাই এ বিষয়ে তারাই ব‍্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।

ঢাকা সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মোহাম্মদ আহাদ উল্লাহ বলেন, বিষয়টি আপনার কাছে থেকে জানতে পারলাম। সার্ভেয়ার পাঠিয়ে আমি প্রয়োজনীয় ব‍্যবস্থা গ্রহন করবো।

কালীগঞ্জে অবহেলিত রাস্তা, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

সিংগাইরে সওজ‍‍`র জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ

প্রকাশ : ০৩:৩৪:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার:

হেমায়েতপুর-সিংগাইর-মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা চোখের সামনে দখল হয়ে গেলেও অদৃশ্য কারণে কর্তৃপক্ষের নিরভতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এলাকাবাসি। দখলের পর নয় দখলের পূর্বেই দখল বন্ধে প্রয়োজনীয় ব‍্যবস্থা চান তারা।

দখল বিষয়ে ইতিপূর্বে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রচার হলেও কর্তৃপক্ষ কার্যকরী কোন ব‍্যবস্থা না নেয়ায় এ সড়কের ভাষা শহিদ রফিক সেতুর পশ্চিম প্রান্তে ধল্লা পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন দক্ষিণ ধল্লা এলাকায় অবৈধভাবে দখলের প্রতিযোগীতায় নেমেছে কতিপয় ক্ষমতাধর দখলদার। বাংলাদেশ সড়ক ও মহাসড়ক আইন অনুযায়ী কোনো সড়ক বা মহাসড়কের ৩০ ফুটের মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। কিন্তু সে আইনের প্রতি কারো কোন তোয়াক্কা নেই ।

সরেজমিনে (৮ মে) দেখা গেছে, দক্ষিণ ধল্লা এ‍্যাসপায়ার গার্মেন্টসর গেইট সংলগ্ন স্থানে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা দখল করে কর্তৃপক্ষের কোন অনুমতি না নিয়েই মো. আব্দুল আলী ও মো. ফারুক হোসেন স্থায়ী দোকান ঘর নির্মাণ করেছেন যা কিনা কর্তৃপক্ষের একেবারেই চোখের সামনে।

এছাড়াও গেল প্রায় ৩বছর পূর্বে স্থানীয় মো. ফজলুর রহমান, মো. লাবু মিয়া, মো. সোবান শাহ, মোসা. দিলরুবা, ইসমাইল হোসেন, মো. নান্টু, মোঃ সাইফুল ইসলাম, মো. সোহেল ও মো. আলিম টিনের ও আঁধা পাকা ঘর নির্মাণ করে অন‍্যদের কাছে অর্থের বিনিময়ে ভাড়া দিয়েছে।

জানা গেছে ১৯৯৫-৯৬ সালে হেমায়েতপুর-সিংগাইর-মানিকগঞ্জ মহাসড়ক বর্ধিত করণের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে সুদক্ষিরা মৌজা থেকে ৩.৬২ একর এবং ধল্লা মৌজা থেকে ৩.১৫ একরসহ মোট ৬.৭৭ একর বা ২০.৪৮ বিঘা (৬৭৭শতাংশ) জমি অধিগ্রহণ করা হয় যার এল.এস কেইস নং ৬/৯৫-৯৬। এরপর কয়েক দফায় সড়কটি বর্ধিত করা হলেও রফিক সেতুর পশ্চিম প্রান্তের খান ফুড থেকে এ‍্যাসপায়ার গার্মেন্টসর গেইট পর্যন্ত স্থানটিতে অধিগ্রহণকৃত জায়গার বড় একটি অংশ এতো দিন ফাঁকা পড়ে ছিল। কিন্তু সুযোগ সন্ধানী দখলদারদের থাবায় সে জায়গাগুলোয় এখন তৈরি হচ্ছে ব‍্যক্তিগত ব‍্যবসায়ি প্রতিষ্ঠান।

এমনিতেই সড়কটিতে প্রায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছেন অগণিত মানুষ । তার ওপর এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও খাবার হোটেলের সামনে পার্ক করে রাখা বিভিন্ন যানবাহনের লম্বা লাইনের কারণে চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে এ সড়কে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিন্নাডাঙ্গী এলাকার জনৈক ব‍্যক্তি বলেন, দখলদারদের মধ্যে কেউ কেউ সরকারি দলের ক্ষমতাধর লোক হওয়ায় সাধারণ মানুষ মুখ খুলতে সাহস পায়না। আবার অন‍্যান‍্য স্থানে অনেকেই এদের দেখাদেখি দখলে উৎসাহি হচ্ছে। তাই অতি সত্তর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট জোড় দাবি জানান তিনি।

দখলদার মো. আব্দুল আলী ও মো. ফারুক হোসেনের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, সরকারি জমি পড়ে থাকে। এ কারণে আমরা দোকানপাট তৈরি করেছি। স্থাপনা নির্মাণে আমরা সওজ এর কাছ থেকে কোন অনুমতি নেইনি। সরকার যদি কখনো আমাদের এ স্থাপনা ভেঙ্গে দিতে বলে তখন আমরা নিজরাই ভেঙ্গে দিবো। তবে এখন পর্যন্ত স্থাপনা নির্মাণে আমরা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোন ধরনের নিষেধাজ্ঞা পাইনি। অপর দখলদারদের সঙ্গে কথা বললে তারাও একই কথা জানান।

সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিপন দেবনাথ বলেন, ওই জায়গার দখল রোধে আমি জেলা মাসিক সমন্বয় সভায় কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব‍্যবস্থা নিতে অনুরোধ করবো।

মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলী মো. আলমগীর হোসেন বলেন, সড়কের ওই অংশটুকু মানিকগঞ্জ জেরার সীমানায় হলেও অধিগ্রহণকৃত ওই জায়গা ঢাকা সড়ক ও জনপথ বিভাগের। তাই এ বিষয়ে তারাই ব‍্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।

ঢাকা সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মোহাম্মদ আহাদ উল্লাহ বলেন, বিষয়টি আপনার কাছে থেকে জানতে পারলাম। সার্ভেয়ার পাঠিয়ে আমি প্রয়োজনীয় ব‍্যবস্থা গ্রহন করবো।