নিজস্ব প্রতিবেদক:
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার তলেবপুর ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর গ্রামের ৩ নং ওয়ার্ড মেম্বার ইদ্রিস আলীর বিরুদ্বে খাল খননের মাটি বিক্রি ও প্রকল্প কাজে নয়ছয় করার লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত সম্পন্ন করতে ঘটনাস্থলে সরেজমিন এসেছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আহাদী হোসেন।
বৃহস্পতিবার (১১ মে ) দুপুর (১:৩০) দেড়টা হতে প্রায় ৪ টা পর্যন্ত প্রায় আড়াই ঘণ্টা ব্যাপী এ তদন্ত পরিচালনা করেন তিনি। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান রমজান আলী , ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আবু সাঈদ মোল্লা , ওয়ার্ড সভাপতি মীর মনোয়ার হোসেনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজন উপস্থিত ছিলেন। প্রত্যক্ষভাবে এলাকাবাসীদের কাছে শোনেন খালের মাটি কাটার ঘটনা। এ সময় এ প্রতিনিধি নিজেই ঘটনাস্থল হতে খাল কাটার ঘটনা শোনে ভিডিও ধারণ করেন।
মাটি কাটার সাথে জড়িত মরিয়ম নামে এক নারী বলেন, আমাদের জমি হতে বাড়তি মাটি আমরা নিজেরাই সরিয়ে নিয়েছি ইদ্রিস মেম্বারও সেটা জানেনা। ঘটনার বাস্তবতার সাথে কতটুকু মিল সেটা দেখতে মরিয়মের বাড়িতে গিয়ে সেই প্রমাণ মেলে। দেখা গেছে খালের সীমানা হতে প্রায় ১ হাজার মিটার দূরে নিজ বাড়ির ভিটিতে রাখা হয়েছে সে মাটি। এমন সময় ইদ্রিস মেম্বার খাল খননের মাটি বিক্রি করেছেন এমন অভিযোগ এনে প্রশ্ন করলে এলাকাবাসি সবাই তা অস্বীকার করেন। ইউপি চেয়ারম্যান রমজান আলী ও ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আবু সাঈদ মোল্লা বলেন , কই অভিযোগের তো কোন সত্যতা পেলাম না। একটা লোকও বললো না ইদ্রিস মেম্বার মাটি বিক্রি করেছেন ? এদিকে ঘটনাস্থলে মুহূর্তের মধ্যেই এলাকার নারী-পুরুষ এসে জড়ো হতে থাকে এবং সবাই ইদ্রিস মেম্বারকে নির্দোষ দাবি করে বলেন ইদ্রিস মেম্বারের বিরুদ্দে সব অভিযোগ মিথ্যা দাবি করেন এবং পরবর্তীতে এ বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন।
ইদ্রিস মেম্বারের ভাই মুক্তার আলী বলেন , আমার ভাই ২৪ বছর বিদেশ করে যা কামাইছে তা অনেক। তার অন্যের হোক মেরে খাবার দরকার পরেনা। মূলত আমার ভাইয়ের জনপ্রিয়তায় ঈর্শানিত হয়ে সাবেক মেম্বার আবদুল মালেক এ জঘন্য মিথ্যা কথা দিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ইদ্রিস মেম্বার বলেন, এলাকার জনগণ আমাকে চায়। আমি কোনদিন এক টাকাও ঘুষ খাইনি। সবার পাশে থেকেছি। মূলত আমাকে উন্নয়নমুখী কাজে জনসম্মুখে নেতিবাচক জাহির করে জনগণ হতে দূরে রাখতে এ মিথ্যার আশ্রয় নেয়া হয়েছে।
সিংগাইর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আহাদী হোসেন বলেন , মরিয়ম নামে এক নারী স্বীকার করেছেন যে তারা তাদের জমি হতে মাটি তাদের আরেক বাড়ির উঠানে রেখেছেন। খাল খনন প্রকল্পে কোন অবহেলা না করে সুষ্ঠুভাবে কাজ করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে