সারা বাংলাদেশে এক সময়ে সড়ক-মহাসড়কে দাপিয়ে চলা প্রশাসনের কর্তাবাবুদের ব্যবহারের জিবগাড়ি গুলো বিকল হয়ে অস্তিত্ব হারিয়ে এখন খোলা আকাশের নিচে মাটিতে খয়ে মিশে যাচ্ছে। দেশে অনেক জেলা-উপজেলার প্রায় একই চিত্র। যথাসময়ে গাড়িগুলো টেন্ডারের মাধ্যমে নিনামে বিক্রি করা হলে সরকারের রাজস্ব খাদে জমা হতো কোটি কোটি টাকা। এখনো গুরুত্ব দিয়ে পড়ে থাকা গাড়িগুলো বিক্রি করা হলে সরকার দেখবে কিছু টাকার রাজস্বের মুখ। তানাহলে পরিত্যক্ত অবস্থায় বিষ্টি-মাটির পেটেই চলে যাবে গাড়ীর মূল্যবান সব দেহ।
চমকের সাথে সড়ক দিয়ে ১৫ বছর আগেই দাপটের সাথে চলা এই জিপ গাড়িগুলো ব্যবহার না হওয়ায় বর্তমান সময়ের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এসি গাড়ির থাবায় অস্তিত্ব হারিয়েছে। এখন গাড়িগুলো শুধু স্মৃতির পাতা বহন করছে। কালের আবর্তে হারিয়ে যাওয়া গাড়িগুলো এখন শুধু ফটো সেশনের ফ্রেমেই চোখে পড়ে।
এ বিষয়ে শিবালয় উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউর রহমান খান জানু জানান, এক সময়ের উপজেলা গুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউএনও'রা ওই জিপ গাড়ি গুলো ব্যবহার করতেন দাপটের সাথে। বর্তমানে তারা আরো উন্নত মানের গাড়ি পেয়ে পুরাতন গাড়ির যত্ন নেয়নি। ফলে খোলা আকাশের নিচে গাড়িগুলো দীর্ঘ বছর অযত্নে-অবহেলায় পড়ে থাকায় নষ্ট হয়ে গেছে। কর্মকর্তাদের দায়িত্ব হীনতার কারণেই গাড়ির এই অবস্থা হয়েছে। যথাসময়ে গাড়িগুলো নিলামের মাধ্যমে বিক্রি হলে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব পেত। তবে সেই গুড়েবালি পড়েছে। এখন ভাঙ্গারিদরে বিক্রি করতে হবে গাড়িগুলো।
মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক রেহেনা আক্তার বলেন, জেলাসহ উপজেলা গুলোর ব্যবহারের অনুপযোগী পরিত্যক্ত গাড়িগুলোর তালিকা করে দরপত্রের মাধ্যমে নিলামে বিক্রি করা হবে।