আমিনুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ:
‘বিদ্যুৎ পরিস্থিতি এমন হবে যে, বিদ্যুৎ নেওয়ার লোক পাওয়া যাবে না। ফেড়ি করে বেচতে হবে’। মানিকগঞ্জ -২ আসনের সংসদ সদস্য কণ্ঠশিল্পী মমতাজের এমন ভিডিও বার্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। মানুষের মাঝে বিদ্যুৎ নিয়ে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির সঞ্চার হয়। কেউ কেউ এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা -সমালোচনার ঝড় উঠায়।
সম্প্রতি সারাদেশে বিদ্যুতের ভয়াবহ সংকট দেখা দেওয়ার পর ওই ভিডিও কনটেইনটি নতুন করে লাইম লাইটে আসে। শুরু হয় নানা গুজব!
ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল ওই ভিডিও বার্তার সঠিক ব্যাখ্যা জনগণের মাঝে তুলে ধরতে তিনি ফেসবুক live এ আসেন।
সিংগাইর, হরিরামপুর ও মানিকগঞ্জের একাংশ নিয়ে গঠিত মানিকগঞ্জ -২ আসনের সংসদ সদস্য বিশ্ব বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী ও উন্নয়নের রূপকার হিসেবে পরিচিত সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম বলেন, আমার ওই বক্তব্যটি ছিল সমসাময়িক। ওই সময়ের প্রেক্ষাপটে যা ছিল অতীব সত্য। নিজ সংসদীয় এলাকার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এই এলাকায় ৭০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার থেকে বঞ্চিত ছিল। আমি সংসদ সদস্য হওয়ার পর রাস্তাঘাট হাট বাজার স্কুল কলেজ মসজিদ মাদ্রাসা শিল্প কারখানা সহ অন্যান্য অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করেছি। অঞ্চলের শতভাগ মানুষ এখন বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছেন। এটা চিরন্তন সত্য কথা। কিন্তু বিদ্যুৎ সমস্যা এখন জাতীয় সমস্যায় পরিণত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মহামারি করোনা, ইউক্রেন – রাশিয়া যুদ্ধসহ ক্লাইমেট চেঞ্জের বিরূপ প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতি আজ হুমকির মুখে। বাংলাদেশ এই সংকটের বাইরে নয়। গোটা বিশ্ব এখন ক্লান্তিকাল অতিবাহিত করছে।
দেশে সাময়িক বিদ্যুৎ সমস্যা চলছে। তবে বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে সরকার নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আশা করি অচিরেই সমাধান হবে।
তিনি বলেন আমি জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এমপি হওয়ার আগেই আমি মমতাজ চক্ষু হাসপাতাল সহ সেবা মূলক বহু প্রতিষ্ঠান চালু করেছি। মানিকগঞ্জ দুই আসনের জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। আবারো আমাকে তারা এমপি বানাবে এই প্রত্যাশা আমার রয়েছে। কারণ আমি জনগণের ভালোবাসায় শিল্পী হয়েছি এমপি হয়েছে। আমি যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাব। আমি খুব একটা ফেসবুক লাইভে আসিনা। জনগণ যাতে ভুল না বুঝে সেই লক্ষ্যে এই ভিডিও বার্তা।