মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি:
মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রান ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ও হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমানের পুত্রের বিরুদ্ধে দলীয় নেতাকর্মীদের মারধরের ঘটনায় থানায় ১ দিনে দুই মামলা হয়েছে। গত বুধবার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধার মানিক গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে এবং দিয়াপাড় গ্রামের আতাহার খন্দকারের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে চেয়ারম্যান পুত্রসহ ৪১ জনকে আসামি করে হরিরামপুর থানায় ২ টি মামলা দায়ের করেছে।
২ টি মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়,গত বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টার উপজেলার লেছড়াগঞ্জ বাজারে শ্রমিকলীগ নেতা ইউসুফ দেওয়ানকে পিস্তল দিয়ে মাথায় আঘাত করে চেয়ারম্যান পুত্র নবীনুর রহমান। পরে অন্যরা ইউসুফ দেওয়ানকে দেশীয় অস্ত্র এবং কাঠ দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হলে চিৎকারে এগিয়ে আসে ইউসুফ দেওয়ানের বোন। সন্ত্রাসীরা ইউসুফ দেওয়ানের বোন ও এক ইউপি সদস্য বেধর মারপিট করে। এরআগে সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার আন্ধার মানিক এলাকায় ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অসিমকে রাস্তায় ফেলে মারধর করে নবীনুর রহমান ও তার অনুসারীরা। মারধরে আহত সকলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মামলার বাদী আব্দুর রাজ্জাক জানান, উপজেলা চেয়ারম্যানের পুত্র নবীনূর ও তার ৩০/৩৫ সহযোগী মোটরসাইকেল যোগে লেছড়াগঞ্জ বাজারে ইউসুফ দেওয়ানের দোকানে হামলা চালায়। এ সময় আমি ওই দোকানে সওদা করতে যাই। হামলাকারিরা আমাকে টেনে হেঁচড়ে ফাকা জায়গায় নিয়ে ব্যাপক মারধর করে। অন্যদিকে ইউসুফের মারপিটের চিৎকার শুনে তার বোন আসমা এগিয়ে আসলে তাকেও হামলাকারীরা মারধর করে। গুরুতর আহত ইউসুফ দেওয়ান মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ৩ নং কেবিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অপর মামলার বাদী মোহাম্মদ জাহিদ হাসান জসিম বলেন, বুধবার সকালে উপজেলা চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমানের ছেলে ও তার সহযোগীরা আমাদের বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে আমার কলেজ পড়ুয়া ছোট ভাই অসীমকে বেধড়ক মারপিট করে। সে বর্তমানে হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার আদিত্য বলেন, এঘটনায় পৃথক দুটি মামলা রুজু হয়েছে। এই পর্যন্ত ৭ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চেয়ারম্যান পুত্রসহ বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারে জোর পুলিশী তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।