মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিংগাইর উপজেলার মেয়র রমজান আলী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ’ এর প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান অবশেষে পদত্যাগ করেছেন।
সোমবার (৩ জুলাই) বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মেয়র মো. রমজান আলী নিকট এই পদত্যাগ পত্র দাখিল করেন। তিনি উপজেলার চর ফতেপুর গ্রামের তাজ উদ্দিন আহমদের ছেলে।
জানা গেছে, সিংগাইর উপজেলার ‘মেয়র রমজান আলী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ ফতেপু’ এর উন্নয়ের জন্য ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে এক লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস। সরকারি ঐ অর্থ দিয়ে কলেজের মাটি ভরাটের কাজ করার কথা। কিন্তু মিজানুর রহমান উত্তোলিত অর্থ দিয়ে প্রতিষ্ঠানের ১০ টাকার কাজ করেনি।
তিনি কলেজের উন্নয়নের নামে চারজন সদস্যদের স্বাক্ষর নিয়ে এক লক্ষ টাকা উত্তোলন করেন। এই অর্থ দিয়ে কলেজের অবকাঠামো উন্নয়ন না করে কৌশলে বাকী সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টাকা আত্মসাৎ করেন।
প্রতিষ্ঠান প্রধান হয়েও সরকারি অর্থ আত্মসাৎ এর খবর পেয়ে কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সদস্যরা তার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ না নিয়ে টাকা ফেরেতর প্রস্তাব দেন। তাতেও তিনি নানা টালবাহানায় কালক্ষেপন করেন। এক পর্যায়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ ক্ষুদ্ধ হলে মিজানুর রহমান লিখিত পদত্যাগপত্র জমা দেন।
সরকারি অর্থ আত্মসাৎ এর কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত মিজানুর রহমান বলেন, টাকা আমি উত্তোলন করেছি। কাজ হয়নি এটা সত্য। উত্তোলিত টাকা সাংসারের প্রয়োজনে খরচ করেছি।কর্তৃপক্ষ চাপ দেওয়া আমি চাকরি হতে অব্যাহতি দিয়েছি। পাশাপাশি বুধবার (৫ জুলাই) সভাপতির নিকট টাকা ফেরত দিয়েছি।
কাবিটা প্রকল্পের সদস্য শাহজাহান শিকদার, আ. মজিদ ও মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, কাজের কথাবলে আমাদের নিকট থেকে স্বাক্ষর নিয়েছে। টাকার ব্যাপারে আমরা কিছুই জানিনা।
পরিচালনা কমিটির সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হওয়ায় প্রধাণ শিক্ষক নিজ থেকে অব্যাহতি নিয়েছে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি সভাপতি মো. রমজান আলী বলেন, পদত্যাগ পত্র টাকা পেয়েছি। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।