মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বলধারা ইউনিয়নের খোলাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের জায়গা দখল করে চারটি দোকান নির্মাণ করে দীর্ঘ দিন ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঐ স্কুলের সভাপতি সরুজ কোম্পানির ভাগ্নে জাহাঙ্গীর হোসেনের বিরুদ্ধে।
জাহাঙ্গীর হোসেন ঐ এলাকার নূরুল হকের পুত্র। প্রশাসনের নির্দেশ পাওয়ার মাত্রকিছু দোকানদার সরকারি জমি হতে স্বেচ্ছায় দোকান সরিয়ে নিলেও জাহাঙ্গীরের চারটি দোকান রয়েছে বহালতবিয়তে।
এসব দোকান উদ্ধারে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির নেই কোন তৎপরতা। প্রধান শিক্ষক নাসরিন সুলতানা ও সভাপতি সরুজ-কে ম্যানেজ করে সরকারি জমিতে দোকান তুলে দীর্ঘ দিন ভাড়া দিয়ে খাচ্ছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির আপন ভাগ্নে হওয়ায় ঐ দোকান গুলো উচ্ছেদে নির্বিকার প্রধান শিক্ষক। স্থানীয় লোকজন মাঠের দখলকৃর্ত জমি বুঝে নেওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষককে বার বার বলার পরেও কোন কর্ণপাত না করায় স্থানীয় সমাজ হিতৈষী সাবেক জনপ্রতিনিধি মো. আমিনুল ইসলাম জমি উদ্ধারে নির্বাহী কর্মকর্তা দীপন দেবনাথের বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বলধারা ইউনিয়নের খোলা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১২৭ শতাংশ জমির মধ্যে ১৪ শতাংশ জমি বেদখল হয়ে যায় । সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসন ঐ বিদ্যালয়ের জায়গা বুঝে নিয়ে বাউন্ডারির কাজ করতে বলেন । কিন্ত প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি ঐ চারটি দোকান উচ্ছেদের ব্যবস্থা না করেই বাউন্ডারি নির্মাণের কাজ চালাচ্ছেন।
স্থানীয় লোকজন সভাপতির ভাগ্নের দখকৃত জায়গা উদ্ধার করার জন্য ঐ প্রধান শিক্ষিকাকে বারবার বলা সত্বেও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না তিনি। এতে একদিকে মাঠ সংকুচিত হচ্ছে অন্য দিকে সরকারি জমি বেদখল হয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপরে প্রধান শিক্ষক নাসরিন সুলতানাকে ফোন দিলে তিনি রাগান্বিত হয়ে বলেন শুধু আমার স্কুলের জমি নিয়ে লেখতে চান কেন? আরও কত স্কুলের জমি দখল হয়ে গেছে ঐ গুলা নিয়ে লিখেন। স্কুলের মোট জমি কত টুকু জানতে চাইলে তিনি বলেন জমিসংক্রান্ত তথ্য রাখা আমার কাজ নয় আমার কাজ হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ানো । পড়াশুনা সম্পর্কে জানার থাকলে বলেন।
জায়গা দখলকারি জাহাঙ্গীর বলেন মাঠের জমি দখল করে দোকান তুলে ভাড়া দিয়েছি সত্য যখন সরকারের দরকার হবে তখন স্কুলের জমি ছেড়ে দিব।
ইউএনও দীপন দেবনাথ বলেন, সহকারী কমিশনার ভুমি-কে পাঠানো হয়েছে। সরকারি জমি উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।