পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি বলেছেন, বাংলাদেশে ভোট ডাকাতি শুরু হয়েছে জিয়াউর রহমানের হাত ধরে। তিনি হাঁ না ভোট দিয়েছিলেন, সেই ভোটে শতকরা সাড়ে ৯৯ পারসেন্ট ভোট পেয়েছিলেন। সেই সময় আমরা কি করছিলাম। দেশে কি আওয়ামীলীগ ছিলনা। বিএনপির খালেদা জিয়া তাদের ছেলে তারেক জিয়া সবচেয়ে বড় কিট । তিনি লন্ডনে বসে রাজনীতি করেন। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্ঠায় সাড়ে ১৪ বছরে একই পলিসিতে হারিয়ে যাওয়া বাংলাদেশকে ফিরিয়ে পেয়েছেন। কর্মসংস্থান, বিদ্যুত, শিক্ষা, কৃষিতে উন্নয়ন, বাঁধ নির্মাণসহ নানা প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের নানাবিধ উন্নয়ন করেছেন তিনি।
শুক্রবার (১৮ আগষ্ট) বিকেলে উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা দোয়া মহফিল সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৭১ সালের পরাজিত বাহিনী ও পথভ্রষ্ট কতিপয় সামরিক কর্মকর্তা এবং বেইমান মুশতাক ও জিয়া ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট হত্যা করেছিল তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিব রহমানসহ তার পরিবারের ১৭ জন সদস্যকে। আমি তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। সেদিন জার্মানে শেখ হাসিনা তার স্বামীর কাছে ছোটবোন রেহেনাকে সঙ্গে নিয়ে অবস্থান করায় ভাগ্যক্রমে তারা বেঁচে গিয়েছিল। ১৯৭৫ সালের পরবর্তীতে আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে অনেক চক্রান্ত করা হয়েছে। ১৯ বছর আগে শেখ হাসিনা হত্যার উদ্দেশ্যে গ্যানেট হামলা করা হয়েছিল। সেখানে ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে আইভি রহমানসহ অসংখ্য মানুষের প্রাণ নিয়েছে। একটি কথা মনে রাখবেন, আগুন লাগানো যতটা সহজ, নেভানো তার চেয়ে অনেক কঠিন।
তিনি বলেন, আগামী দ্বাদশ নির্বাচন সামনে রেখে নতুন চক্রান্ত চলছে। বিগত দিনে নৌকা ,নৌকা করে মুখে ফ্যানা তোলা অনেক লোকেরাও নৌকা বিরোধীতা করেছিল। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে কেউ নির্বাচন করলে, এমন ভোট দিবেন, যাতে জামানত ফিরত না পায়। এই সব লোকদের আপনারা কতদিন বাঁচিয়ে রাখবেন জানিনা।
আমি এমপি ,মন্ত্রীত্ব চাইনা, নেত্রী আমাকে নমিনেশন না দেন, তবুও নৌকার পক্ষে কাজ করবো। আমার শেষ নিশ্বাস থাকা পর্য়ন্ত (চারঘাট-বাঘা) বাসীর জন্য কাজ করে যাবো।
আলোচনা শেষে, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শাহাদাতবরণকারী সকল শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা দোয়া করা হয়। পাকুড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আহবাযক আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী জেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক আলফোর রহমান, উপজেলা আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল, ওয়াহিদ সাদিক কবির , অধ্যক্ষ নছিম উদ্দিন, সিরাজুল ইসলাম মুন্টু, আড়ানী পৌরসভার মেয়র মুক্তার আলী, মাসুদ রানা তিলু, সামিউল আলম নয়নসহ দলীয় নের্তৃবৃন্দ।
