ইরাকের রাজধানী বাগদাদের উত্তরে দুটি মিনিবাসের মধ্যে সংঘর্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই ইরানি শিয়া তীর্থযাত্রী। এ ছাড়া আহত হয়েছে ১৫ জন। চিকিৎসা কর্মকর্তারা শনিবার এ তথ্য জানিয়েছেন। দুজাইল ও সামারার মধ্যে ‘ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা’ ঘটেছে বলে সালাহউদ্দিন প্রদেশের স্বাস্থ্য পরিষেবার পরিচালক খালেদ বুরহানের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইএনএ জানিয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সালাহউদ্দিনের একজন মেডিক্যাল কর্মকর্তা এএফপিকে জানান, শুক্রবার মধ্যরাতের কিছু আগে মিনিবাস দুটির মধ্যে সংঘর্ষ হলে ১৮ জন নিহত এবং ১৫ জন আহত হয়। সূত্রটি প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনার বরাত দিয়ে জানান, চালকদের মধ্যে একজন গাড়ি চালানো অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের আরেক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ১৪ জন ইরানি, দুজন আফগান এবং দুজনকে এখনো শনাক্ত করা যায়নি। নিহতদের মধ্যে দুই চালকও রয়েছেন বলে এলাকার ট্রাফিক কর্তৃপক্ষের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
তিনি একজন চালকের ঘুমিয়ে পড়ার খবরের কথা উল্লেখ করে আরো জানান, একটি মিনিবাস বিপরীত লেনে চলে গিয়েছিল।
আইএনএ প্রাথমিকভাবে ১৬ জন নিহত এবং ১৩ জন আহত হওয়ার কথা জানিয়ে বলেছিল, নিহতরা প্রতিবেশী ইরানের শিয়া তীর্থযাত্রী।
প্রায় এক বছর আগে ১১ সেপ্টেম্বর বাগদাদের দক্ষিণে বাবিল প্রদেশে একটি ট্রাকের সঙ্গে মিনিবাসের সংঘর্ষে ১১ জন ইরানি শিয়া তীর্থযাত্রী এবং তাদের ইরাকি চালক মারা যান। সে সময় একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছিলেন।
লাখ লাখ শিয়া তীর্থযাত্রী বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশের জন্য প্রতিবছর মাজার নগরী কারবালার দিকে রওনা হয়, যাদের মধ্যে অনেক ইরানিও থাকে।
এর আগে সোম ও মঙ্গলবার চারটি সড়ক দুর্ঘটনায় ২০ জনের প্রাণহানি ঘটে এবং আরো কয়েক ডজন আহত হয়, যাদের অধিকাংশই ইরানি তীর্থযাত্রী। ইরানের সীমান্তবর্তী ওয়াসিত ও ধি কার প্রদেশে এসব দুর্ঘটনা ঘটেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ইরাকে সড়ক দুর্ঘটনায় চার হাজার ৯০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। সেই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে শুধু সড়ক দুর্ঘটনাতেই।