মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার জামির্তা ইউনিয়নের পশ্চিম জামির্তা এলাকায় সরকারি রাস্তার পাশ থেকে লাখ টাকা মূল্যের গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আমিনুর রহমান মাস্টার নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে রাস্তার পাশ থেকে গাছগুলো কাটা হয়েছে এমনটাই দাবি এলাকাবাসীর।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সকালে দিকে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা মেলে ছয়টি আকাশমনি গাছ কেটে পাশের জমি ও রাস্তার পাশে ফেলে রাখা হয়েছে।
আমিনুর রহমান মাস্টার উপজেলার জামির্তা ইউনিয়নের পশ্চিম জামির্তা (মধুরচর) এলাকার মৃত খলিল মাস্টারের ছেলে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,উপজেলার জামির্তা ইউনিয়নের জামির্তা এলাকায় সবুজে ঘেরা পাকা দু-ধারে বেশ বড় বড় বাহারি গাছের সারি রয়েছে।
রাস্তার ধারে সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম নিজের হাতে বপণ করেন গাছ গুলো সেই গাছগুলো অবাধে কাটছেন আমিনুর রহমান মাস্টার।
স্থানীয়দের দাবি এই গাছগুলো ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় আনুমানিক প্রায় ১৫ বছরের ও বেশি সময় আগে বপণ করা হয়।
স্থানীয় আক্তার মিয়া ও আব্দুল আওয়াল বলেন, রাস্তার দুই ধারের গাছগুলো সৌন্দর্যবর্ধন করে ছায়া দিয়ে আসছে। এ পথে চলাচল করে হাজারো মানুষ। তাদের মাথার ওপরের রোদ থেকে রক্ষা করত এই গাছগুলো। শুধু তাই নয়, গাছগুলো থাকায় রাস্তার দুই ধারের মাটি ভেঙে যেত না। গাছগুলো একদম রাস্তার মোড়ে হওয়ায় রাতের অন্ধকারে কোন দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা ছিল না। এখন গাছগুলো কাটার কারণে সামনে যে মোড় রয়েছে সেটি বোঝার কোন সুযোগ নেই,যেকোনো সময় ঘটতে পারে সড়ক দুর্ঘটনা।
এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত আমিনুর রহমান মাস্টারকে ফোন দিলে তিনি বলেন, আমি গাছ কেটেছি আপনাকে কে বলেছে। আমার বাপ দাদার গাছ। আমি কেন কাটবো। তাহলে কি আপনার বাপ দাদা গাছ কেটেছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আপনার কাছে কি প্রমাণ আছে। আপনাকে কেন কৈফিয়ত দিব, আপনি কে। আপনার পরিচয় দিন আপনাকে দেখছি।
স্থানীয় জন প্রতিনিধি ওয়ার্ড মেম্বার মোঃতারা মিয়ার কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গাছ কাটার ঘটনাটি আমি এখনো শুনিনি এ সম্পর্কে আমি কিছু জানিনা।
এবিষয়ে জানতে চাইলে জামির্তা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মোল্লা বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি, শুনে সাথে সাথেই ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছি। সেখানে আমি ছয়টি গাছের গোড়া এবং গাছের ডালপালা পেয়েছি।গাছগুলো আমাদের ইউনিয়নের আওতায় কিনা ভালোভাবে খোঁজখবর নিয়ে দেখছি।
সিঙ্গাইর বন বিভাগের কর্মকর্তা ইউসুফ রহমান বলেন,পশ্চিম জামির্তায় আমাদের বন বিভাগের কোনো বনায়ন নেই তবে এটা হয়তো ইউনিয়ন পরিষদের বনায়ন হবে বলেও মন্তব্য করেন এই বন কর্মকর্তা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিপন দেবনাথ বলেন,বিষয়টি আমি অবগতনা।আমি এখনি চেয়ারম্যানকে ঘটনা স্থলে পাঠাচ্ছি এবং প্রয়োজনে আমি তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করব।