১০:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দৌলতপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার, ৫ জনের ১৫ হাজার টাকা জরিমানা

এ.বি.খান বাবু , বিশেষ প্রতিবেদক
  • প্রকাশকাল : ১২:৪৩:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪
  • / ২৯১ Time View

মানিকগঞ্জে দৌলতপুর উপজেলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যমুনা নদীতে মা ইলিশ শিকারের দায়ে ৫ জনকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রজত বিশ্বাস এই কারাদণ্ড দেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, ইলিশ প্রকল্পের ডিপিডি মো. ফরিদ হোসেন, দৌলতপুর উপজেলা মৎস্য অফিসার মো. মিজানুর রহমান সহ পুলিশ সদস্য টিম।

অর্থদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন, ইয়াকুব কাজি (৬৫), জুয়েল হোসেন (১৯), ইলিয়াস মিয়া (২২), আঃ ছাত্তার (২৫) ও চাঁন মিয়া (৬৫)। তাঁদের বাড়ি দৌলতপুর উপজেলার চরাঞ্চলে বাচামারা-চরকাটারি গ্রামে।

জাটকা সংরক্ষণ ও মা ইলিশ রক্ষায় গত ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন নদীতে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। নিষেধাজ্ঞার সময় এসব এলাকায় সব রকমের ইলিশ সংরক্ষণ, আহরণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ ও মজুতকরণ নিষিদ্ধ রয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দৌলতপুর উপজেলার যমুনা নদীতে ইলিশ শিকার করছেন এক শ্রেণীর অসাধু জেলে-ব্যক্তিরা। এমন খবরে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল পর্যন্ত যুমনা নদীতে অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মীরা। এ সময় নদীতে ইলিশ শিকারের অভিযোগে পাঁচ জন ব্যক্তিকে আটক করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ইলিশ শিকারে ব্যবহৃত ৪০ হাজার মিটার জাল জব্দ করা হয়। পরে আটক ৫ ব্যক্তিকে ৩ হাজার টাকা করে মোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৫ জনকে ১৫ হাজার হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং অভিযানে জব্দকৃত কারেন্ট জালপুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয় ও ১৫ কেজি ইলিশ মাছ বিভিন্ন মাদ্রাসায় বিতরণ করা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

দৌলতপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার, ৫ জনের ১৫ হাজার টাকা জরিমানা

প্রকাশকাল : ১২:৪৩:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

মানিকগঞ্জে দৌলতপুর উপজেলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যমুনা নদীতে মা ইলিশ শিকারের দায়ে ৫ জনকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রজত বিশ্বাস এই কারাদণ্ড দেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, ইলিশ প্রকল্পের ডিপিডি মো. ফরিদ হোসেন, দৌলতপুর উপজেলা মৎস্য অফিসার মো. মিজানুর রহমান সহ পুলিশ সদস্য টিম।

অর্থদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন, ইয়াকুব কাজি (৬৫), জুয়েল হোসেন (১৯), ইলিয়াস মিয়া (২২), আঃ ছাত্তার (২৫) ও চাঁন মিয়া (৬৫)। তাঁদের বাড়ি দৌলতপুর উপজেলার চরাঞ্চলে বাচামারা-চরকাটারি গ্রামে।

জাটকা সংরক্ষণ ও মা ইলিশ রক্ষায় গত ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন নদীতে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। নিষেধাজ্ঞার সময় এসব এলাকায় সব রকমের ইলিশ সংরক্ষণ, আহরণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ ও মজুতকরণ নিষিদ্ধ রয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দৌলতপুর উপজেলার যমুনা নদীতে ইলিশ শিকার করছেন এক শ্রেণীর অসাধু জেলে-ব্যক্তিরা। এমন খবরে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল পর্যন্ত যুমনা নদীতে অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মীরা। এ সময় নদীতে ইলিশ শিকারের অভিযোগে পাঁচ জন ব্যক্তিকে আটক করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ইলিশ শিকারে ব্যবহৃত ৪০ হাজার মিটার জাল জব্দ করা হয়। পরে আটক ৫ ব্যক্তিকে ৩ হাজার টাকা করে মোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৫ জনকে ১৫ হাজার হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং অভিযানে জব্দকৃত কারেন্ট জালপুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয় ও ১৫ কেজি ইলিশ মাছ বিভিন্ন মাদ্রাসায় বিতরণ করা হয়েছে।