বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২০ অপরাহ্ন

দৌলতপুরের বিষ্ণুপুরে নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে কবর-ঘরবাড়ি ও বিস্তীর্ণ জনপদ

এ.বি.খান বাবু , বিশেষ প্রতিবেদক
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২০ অপরাহ্ন
নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে

মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার খলসি ইয়নিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের খাঁপাড়া এলাকায় নদীর তীব্র ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে কবর-ঘরবাড়ি সহ বিস্তীর্ণ জনপদ।

বর্তমানে নদী ভাঙ্গনের থাবার হুুমকির মুখে রয়েছে আরো অনেক মানুষের কবর, ঘর-বাড়ি, গাছপালা, আবাদি ফসলি জমিন সহ চলাচলের রাস্তাঘাট।

গত কয়েক দিনে যমুনায় পানি বৃদ্ধি ও ঘন-ঘন বৃষ্টির ফলে প্রচন্ড ভাঙ্গনের কবলে দিশেহারা হয়ে পড়েছে নদীর পাড়ের বসবাসরত মানুষজন। এসময় কর্মহীন হয়ে পড়েছে অনেক দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষ। বর্ষা মৌসুমে এখানকার মানুষজনের চলাচলের একমাত্র ভরসা হচ্ছে ইঞ্জিন চালিত স্যালো ও ডিঙ্গি নৌকা।

সরেজমিনে পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, বিষ্ণুপুর খাঁপাড়া গ্রামের দুই কিলোমিটার এলাকা ভাঙ্গনের থাবায় নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বাপ- দাদার আমলের রেখে যাওয়া কবর সহ ঘরবাড়ি, ভিটে-মাটি ও বিস্তীর্ণ জনপদ।

ভাঙ্গন কবলিত এলাকার বাসিন্দা মো. আতিয়ার রহমান বলেন, গত বছর নদীর ভাঙ্গনে বাপ-দাদার বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নতুন করে বাঁচার আশায় পরিবার-পরিজন নিয়ে এলাকার অন্য জায়গায় ঘরবাড়ি উত্তোলন করে বসবাস করছি।

খলসি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জিয়াউর রহমান জানান, গত তিন বছরে যমুনা নদীর শাখার গর্ভে এলাকায় নদীতে বিলীন হয়েছে প্রায় ২০ থেকে ২৫টি বসত বাড়ি-ঘর। ভাঙ্গনের হুুমকির মুখে রয়েছে আরো অনেক ঘর-বাড়ি সহ রাস্তাঘাট। প্রতিবছরের দফায়-দফায় ভাঙ্গনের ফলে নিঃস্ব ও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে নদী তীরবর্তী খেটে খাওয়া দিনমজুর অসহায় মানুষজন। ভাঙ্গন ও যমুনায় পানি বৃদ্ধির ফলে এলাকার আনেক মানুষজন তাদের পরিবার পরিজন, গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ (বস্তা) ফেলার কাজ চলছে। দিশেহারা মানুষজন ভাঙ্গন রোধে দ্রুত সরকারের আরো কার্যকারী পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।


ই বিভাগের আরও সংবাদ:
ঢাকা জেলার নামাজের সময়
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪
ওয়াক্তসময়
সুবহে সাদিকভোর ৪:৫৮
সূর্যোদয়ভোর ৬:১৭
যোহরদুপুর ১১:৪৪
আছরবিকাল ৩:৩৬
মাগরিবসন্ধ্যা ৫:১১
এশা রাত ৬:৩০

এক ক্লিকে বিভাগের খবর