গাজার একটি স্কুল ভবনে ইসরায়েলি বিমান হামলায় বেসামরিক নাগরিক নিহতের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। সোমবার (১২ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ১০ আগস্ট পূর্ব গাজার আল-তাবিন স্কুলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ন্যক্কারজনক হামলায় শতাধিক বেসামরিক নিহত এবং আহত হয়েছেন অনেক। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে বাংলাদেশ।
গাজায় আগ্রাসন ও সহিংসতা বন্ধের লক্ষ্যে শান্তি প্রক্রিয়া এবং আন্তর্জাতিক উদ্যোগের প্রতি ইসরায়েলের অবহেলা প্রদর্শন করে এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন ও মৌলিক মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন বলে মনে করে বাংলাদেশ।
আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আমাদের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করছি যারা এই অত্যাচারের জন্য দায়বদ্ধ থাকবে। আমরা জাতিসংঘ এবং অন্য বিশ্ব সংস্থাগুলোর কাছ থেকে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার জন্য এবং ফিলিস্তিনে মানবিক সাহায্য অব্যাহত রাখার জন্য একটি সিদ্ধান্তমূলক প্রতিক্রিয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছে এবং একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত তাদের অধিকারের জন্য সমর্থন অব্যাহত রাখবে। এ ছাড়া পূর্ব জেরুজালেমকে তার রাজধানী এবং ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি না পাওয়া পর্যন্ত তাদের অধিকারের পক্ষে সমর্থন জানাবে বাংলাদেশ।
উল্লেখ্য, গাজার একটি স্কুলে শরণার্থীরা আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখানে ফজর নামাজ আদায়কালে হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল। এতে শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হন, আহত হন আরও অনেকে।
শনিবার সকালে গাজার মিডিয়া অফিস জানায়, বাস্তুচ্যুত মানুষকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলি হামলা চালানো হয়েছে। আহতদের অবস্থা সংকটাপন্ন। প্রতি মুহূর্তে নতুন মৃত্যুর খবর আসছে।
গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি বলেছে, তিনটি ইসরায়েলি রকেট স্কুলে আঘাত করে। ঘটনাটিকে একটি ভয়াবহ গণহত্যা হিসেবে বর্ণনা করেছে তারা। হামলায় নিহত অনেকের দেহে আগুন লেগে ছাই হয়ে গেছে।
আলজাজিরার হামদা সালহাউট জর্ডানের আম্মান থেকে জানান, আহতদের গাজার ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সেখানে তাদের বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা চলছে। নিহতদের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।