মারুফ হাসান, নিজস্ব প্রতিবেদক :
গাজীপুরের কালীগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহিদী মিছিলে বাঁধা ও হামলায় মোক্তারপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এমদাদুল হক আকলু (৬০) খুন হন হওয়ার ঘরনা ঘটেছে ।
এ সময় জহিরুল ইসলাম, মজনু শেখ, বিল্লাল হোসেন, তাজুল ইসলাম, শামসুল শেখ, নুরুল ইসলামসহ আরো ১০-১২জন বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দলের নেতা কর্মীরা।
আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি রয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে ঘটনাস্থল থেকে নিহত ওই বিএনপি নেতার লাশ উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলাধীন মোক্তারপুর ইউনিয়নের নাসু মার্কেট এলাকায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহিদী মিছিল ও শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক মাস পূর্তিতে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ সময় আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকলে পার্শ্ববর্তী কাপাসিয়া থানাধীন দূর্গাপুর ইউনিয়ের খিলগাঁও এলাকা মজির মিয়ার পুত্র নাজুক মিয়া প্রতিবাদ করে।পরে কথা-কাটাকাটি এক পর্যয়ে নাজুক মিয়া ফোন করলে পূর্ব থেকে ওত পেতে থাকা কতিপয় সুযোগ সন্ধানী দলের নামধারী বখাটে সন্ত্রাসী মোরশেদ, আজিজুল ওরুফে উরু, আরিফুল, সিয়াম, মারুফ, মনির হোসেন ও সোহেল সহ ৬০-৭০ জন মিছিলটিতে বাধা প্রদান করে।
এ নিয়ে উভয় পক্ষে বাক বিতন্ডার একপর্যায়ে বাধা প্রদানকারীরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ধাওয়া করলে মিছিলকারীরা দৌড়ে নাসু মার্কেট চলে যায়। পরে সেখানে গিয়ে ওই সন্ত্রাসীরা মিছিলকারীদের উপর হামলার চালায়।এ সময় হামলাকারীদের বেধড়ক লাঠির আঘাতে এমদাদুল হক আকলু নামের এক বিএনপি নেতা ঘটনাস্থলে নিহত হন। এ ঘটনায় তাকে বাচাতে গিয়ে আরো ১০-১২ জন নেতা কর্মী আহত হয়। নিহত আকলুর শরীলের বিভিন্ন স্থানে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে । নিহত এমদাদুল হক আকলু গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার মুক্তারপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি। তিনি মুক্তারপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা।
ঘটনার পর খবর পেয়ে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেছে । পরে এ ঘটনার খবর পেয়ে গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ থানায় ছুটে যান এবং ঘটনাস্থল গিয়ে নিহতের পরিবারের সদসখোঁজখবর নেন ।
গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কালীগঞ্জ সার্কেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, নাসু মার্কেট এলাকায় একটি মিছিল করাকে কেন্দ্র করে হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।