বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২০ অপরাহ্ন

জমে উঠেছে ইসলামিক বইমেলা

ডেস্ক রিপোর্ট:
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২০ অপরাহ্ন
ইসলামিক বইমেলা

রাজধানী ঢাকার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব চত্বরে ৮৫টি প্রকাশনীর অংশগ্রহণে চলছে ইসলামিক বই মেলা। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গত ২২ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই বইমেলা চলবে আগামী ২০ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রতিবছর ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আয়োজিত হলেও, এবারের মেলায় রূপ ও পরিসরে এসেছে বড় পরিবর্তন।

মেলা ঘুরে দেখা গেছে নতুন বইয়ের ঘ্রাণে আমোদিত হচ্ছেন বইপ্রেমীরা। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার পালাবদলে এবারের ইসলামি বইমেলাতেও এসেছে অনেক পরিবর্তন। যুক্ত হয়েছে অনেক নতুন নতুন আয়োজন। ২২ অক্টোবর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব চত্বরে ইসলামি বইমেলা ২০২৪-এর উদ্বোধন করেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।

নতুন আঙ্গিকে আয়োজিত এবারের বইমেলায় স্টলের সংখ্যা ও আকার বর্ধিত করার পাশাপাশি নকশায় আনা হয়েছে নান্দনিকতা। প্রকাশকরাও তাদের স্টলগুলো আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন করে তুলতে সাজসজ্জায় যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছেন। প্রকাশকরা উচ্ছাশ প্রকাশ করেছেন এমন সুন্দর আয়োজনে। মেলা ঘুরে আমরা কথা বলেছি বেশ কয়েজন প্রকাশকের সঙ্গে।

বইঘর প্রকাশনীর সমর ইসলাম বলেন, আমি প্রকাশক হিসেবে মনে করি, পাঠকের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। সে হিসেবে এ মেলার পরিধি আরও বিসৃত হওয়া দরকার।
মাকতাবাতুল ইসলামের প্রকাশক মাওলানা তাকি ইসলাম বলেন, এবারের বই মেলা অত্যন্ত সুন্দর ও গোছানো হয়েছে। আমরা খুশি যে, আমরা প্রাণ খুলে আমাদের আয়োজন সম্পন্ন করতে পেরেছি।

চেতনা প্রকাশনীর বুরহান আশরাফী বলেন, একটা মেলা হলে অনেক আগ থেকেই প্রস্তুতি নিতে হয়। এটা আগে কখনই সম্ভব ছিলো না, কারণ আমরা স্টল পাবো কী না এটাই জানা ছিলো না আমাদের। আমরা সবসময়ই চেয়েছি নিজেদের মত করে গোছানো একটি মেলা। এবার আলহামদুলিল্লাহ কর্তৃপক্ষ এমন একটি মেলার আয়োজন করেছেন। এতে আমরা খুবই আনন্দিত।

এবারের মেলাকে নান্দনিক ও উৎসবমুখর করতে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। আছে লেখক কর্নার, শিশু কর্নার, নারীদের বিশেষ ব্যবস্থা, ঘোষণা মঞ্চ, তথ্যকেন্দ্র এবং নানা আয়োজন। এ ছাড়া ইসলামি বইমেলাকে প্রাণবন্ত করে তুলতে নিয়মিত আলোচনা সভারও আয়োজন করা হচ্ছে। সেখানে লেখকরা তাদের বই নিয়ে নিজেদের মত করে উন্মুক্ত আলোচনা করে থাকেন। আমরা মেলা ঘুরে কথা বলেছি কয়েকজন লেখকের সঙ্গে।

কথা বলেছি সব্যসাচী লেখক, গবেষক মাওলানা যাইনুল আবেদীনের সঙ্গে। তিনি বলেন, এবারের বই মেলা নানা কারণে ব্যতিক্রম। এবার কিন্তু মেলা করছেন, সরাসরি লেখক ও প্রকাশকেরা। এটা একটা অনন্য দিক এ মেলার। যা এ ইসলামি বইমেলার ইতিহাসেও প্রথম। যার কারণে এ মেলায় লেখক পাঠক একত্রিত হচ্ছেন। বিপুল পরিমাণে পাঠকের সমাগম ঘটছে। এ মেলা আরও প্রসারিত হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।

লেখক মাওলানা আতিকুল্লাহ বলেন, বাংলা ভাষার মানুষ যারা আরবি বুঝে না, তাদের জন্য কোরআন ও হাদিস থেকে মূল বিষয়গুলো নিয়ে ইসলামি লেখকরা লিখে থাকেন। আর সবচেয়ে বড় জিনিস হলো, সাহিত্য রচিত হয় বিনোদন নির্ভর। আর ইসলামি লেখার উদ্দেশ্য হলো আখেরাত। ইসলামি ধারার সব বইয়ের মূল থিম হলো আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করা। তাই সাধারণ মানুষের এখানে অনেক খোরাক রয়েছে।

মেলা ঘুরে চোখে পড়ার মত ছিলো বড়দের গ্রন্থের পাশাপাশি ছোটদের জন্য নান্দনিক আয়োজন। ছোট ছোট কচিকাচাদের জন্য টুনটুন প্রকাশনীর আয়োজন ছিলো চোখে পড়ার মত। তাদের স্টলে দেখা যায় ছোট চোট শিশুরা দাঁড়িয়ে বই পড়ছে। আকর্ষণীয় মলাটে কার্টুনসহ কোরআন ও হাদিসের অসাধারণ বাণীগুলো একত্রিত করেছেন তারা। এর পাশেই দেখা গেছে সমকালীন প্রকাশনীর ছোটদের জন্য লিটল উম্মাহর স্টল। সেখানেও ছোটদের দেখা গেছে বাবার সঙ্গে বই কিনতে এসেছেন।

মেলায় আমরা কথা বলেছি কয়েকজন পাঠকের সঙ্গে। মেলা নিয়ে তাদের ভাবনা। কেমন লেগেছে এবারের মেলা। কী গ্রন্থ কিনেছেন এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর খোঁজেছি তাদের থেকে।

মাওলানা মামুন চৌধুরী বলেন, এবারের মেলা অনেক সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। তবে পরিসর আরও বড় হওয়া দরকার। আমি একটি বই ভালোলাগায় কিনেছি, এটার নাম উম্মাহাতুল মুমিনিন। এর থেকে নবীজির স্ত্রীদের সম্পর্কে জানা যাবে।

আরেকজন পাঠক মাওলানা নুরুদ্দিন তাসলিম বলেন, ইসলাম শুধু কালিমা নামাজ রোজা হজই না। এর বাইরে জীবনের সব বিষয়গুলো নিয়েই লেখা রয়েছে। এ মেলায় সবাইকেই আসার আহ্বান জানাবো। আসলেই দেখতে পাবেন ইসলাম নিয়ে আপনি কী জানতে চান, সে বইই এখানে পাবেন।


ই বিভাগের আরও সংবাদ:
ঢাকা জেলার নামাজের সময়
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪
ওয়াক্তসময়
সুবহে সাদিকভোর ৪:৫৮
সূর্যোদয়ভোর ৬:১৭
যোহরদুপুর ১১:৪৪
আছরবিকাল ৩:৩৬
মাগরিবসন্ধ্যা ৫:১১
এশা রাত ৬:৩০

এক ক্লিকে বিভাগের খবর