০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রায় ১২ বছর পর যুবদল কর্মী হত্যার ঘটনায় মামলা; ৪০ জন সহ অজ্ঞাত আরো ৩৫

তরুণকণ্ঠ ডেস্ক

মারুফ হাসান, নিজস্ব প্রতিবেদক :

গাজীপুরের কালীগঞ্জে প্রায় ১২ বছর পর যুবদলের দুই নেতাকর্মীকে হত্যার ঘটনায় ৪০ জন আওয়ামী লীগের নেতা সহ অজ্ঞাতনামা ৩৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে । বুধবার (২১শে আগস্ট )কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বাবলু বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন ।

জানা গেছে, ২০১১ সালের ৬ মে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা যুবদলের সম্মেলনে যাওয়ার সময় মেহের আফরোজ চুমকির নির্দেশে ও হুকুমে অন্য আসামিরা বিএনপি নেতা কর্মীদের বাঁধা দিতে মারধর করে। সে সময় বিকল্প পথ হিসেবে শীতলক্ষ্যা নদীপথে ট্রলারে করে সম্মেলনে যাওয়ার উদ্দেশ্যে দুপুর ২ টার দিকে কালীগঞ্জ খেয়া ঘাট এলাকায় পৌঁছালে আসামিরা বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নেতাকর্মীদের ট্রলারের গতিরোধ করে আক্রমণ করে। সে সময় ট্রলারে থাকা বিএনপি নেতাকর্মীদের অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়।

এরমধ্যে একজন যুবদল কর্মী চৈতারপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে জামির হোসেনকে (৪০) হত্যার উদ্দেশ্যে যুবলীগ নেতা মাইনুল তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে মারাত্মক গুরুতর জখম করে পরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে অন্য আসামিরা ট্রলার থেকে জামির হোসেনকে নদীতে ফেলে দেয়। এছাড়াও যুবদলের আরেক কর্মী পলাশ উপজেলার ফিরিন্দা টেকপাড়া এলাকার আঃ আব্দুস সালামের ছেলে নাঈম হোসেনকে (২০) হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে সহিদুল ইসলাম ভুট্টো এবং অন্য আসামিরা নাঈমের মৃত্যু নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ট্রলার থেকে তাকেও নদীর পানিতে ফেলে দেয় এবং অন্য আসামিদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়া ট্রলারে থাকা বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে কুপিয়ে প্রায় ৩৫-৪০ জন নেতাকর্মীকে মারাত্মক জখম করে এবং সম্মেলনে যাওয়া বাধাগ্রস্ত করে।

আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। উক্ত ভিকটিমরা তথা জমির ও নাঈমের লাশ শীতলক্ষ্যা নদীর কালীগঞ্জ খেয়া ঘাটের দক্ষিণ পাশ থেকে ঘটনার পরদিন অর্থাৎ ২০১১ সালের ৭ মে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার করে। সে সময় আসামিদের বিরুদ্ধে ঘটনার বিষয়ে কালীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে আসামিদের বাঁধার কারণে তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অভিযোগ গ্রহণ করেননি। যার কারণে আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছিল সে সময় ।

Please Share This Post in Your Social Media

প্রকাশকাল : ০৩:২১:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪
১৮০ Time View

প্রায় ১২ বছর পর যুবদল কর্মী হত্যার ঘটনায় মামলা; ৪০ জন সহ অজ্ঞাত আরো ৩৫

প্রকাশকাল : ০৩:২১:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪

মারুফ হাসান, নিজস্ব প্রতিবেদক :

গাজীপুরের কালীগঞ্জে প্রায় ১২ বছর পর যুবদলের দুই নেতাকর্মীকে হত্যার ঘটনায় ৪০ জন আওয়ামী লীগের নেতা সহ অজ্ঞাতনামা ৩৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে । বুধবার (২১শে আগস্ট )কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বাবলু বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন ।

জানা গেছে, ২০১১ সালের ৬ মে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা যুবদলের সম্মেলনে যাওয়ার সময় মেহের আফরোজ চুমকির নির্দেশে ও হুকুমে অন্য আসামিরা বিএনপি নেতা কর্মীদের বাঁধা দিতে মারধর করে। সে সময় বিকল্প পথ হিসেবে শীতলক্ষ্যা নদীপথে ট্রলারে করে সম্মেলনে যাওয়ার উদ্দেশ্যে দুপুর ২ টার দিকে কালীগঞ্জ খেয়া ঘাট এলাকায় পৌঁছালে আসামিরা বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নেতাকর্মীদের ট্রলারের গতিরোধ করে আক্রমণ করে। সে সময় ট্রলারে থাকা বিএনপি নেতাকর্মীদের অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়।

এরমধ্যে একজন যুবদল কর্মী চৈতারপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে জামির হোসেনকে (৪০) হত্যার উদ্দেশ্যে যুবলীগ নেতা মাইনুল তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে মারাত্মক গুরুতর জখম করে পরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে অন্য আসামিরা ট্রলার থেকে জামির হোসেনকে নদীতে ফেলে দেয়। এছাড়াও যুবদলের আরেক কর্মী পলাশ উপজেলার ফিরিন্দা টেকপাড়া এলাকার আঃ আব্দুস সালামের ছেলে নাঈম হোসেনকে (২০) হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে সহিদুল ইসলাম ভুট্টো এবং অন্য আসামিরা নাঈমের মৃত্যু নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ট্রলার থেকে তাকেও নদীর পানিতে ফেলে দেয় এবং অন্য আসামিদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়া ট্রলারে থাকা বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে কুপিয়ে প্রায় ৩৫-৪০ জন নেতাকর্মীকে মারাত্মক জখম করে এবং সম্মেলনে যাওয়া বাধাগ্রস্ত করে।

আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। উক্ত ভিকটিমরা তথা জমির ও নাঈমের লাশ শীতলক্ষ্যা নদীর কালীগঞ্জ খেয়া ঘাটের দক্ষিণ পাশ থেকে ঘটনার পরদিন অর্থাৎ ২০১১ সালের ৭ মে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার করে। সে সময় আসামিদের বিরুদ্ধে ঘটনার বিষয়ে কালীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে আসামিদের বাঁধার কারণে তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অভিযোগ গ্রহণ করেননি। যার কারণে আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছিল সে সময় ।